Earthquake: ভূমিকম্প হলো এমন একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় যা নিমেষে শেষ করে দেয় সবকিছু। ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলোর অবস্থা আমরা সকলেই জানি। শহর কলকাতা ২০২৫-এর শুরু থেকেই সাক্ষী হয়ে রইলো দু-দু’টো ভূমিকম্পের। এর আগে এত ঘনঘন ভূমিকম্প দেখা যায়নি এই শহরে। তাহলে কলকাতাও কি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার তালিকায়? মুহূর্তের মধ্যে কি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এই শহর? কি বলছে বিশেষজ্ঞরা?
প্রথমটা ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হয়েছিল ৭ই জানুয়ারি, দ্বিতীয়টা হয় ২৪শে ফেব্রুয়ারি। আতঙ্কে রয়েছে শহরবাসী, স্বাভাবিক কারণেই মনে ভয়মিশ্রিত প্রশ্ন রয়েছে, এমনটা কি ঘনঘন হতে পারে? জিগ শ পাজেলের মতো কিছু প্লেটের উপর রয়েছে শহর কলকাতা। এই প্লেটগুলো রীতিমতো প্রতিনিয়ত নাড়াচাড়া করছে। এই কারণেই ঘনঘন ভূমিকম্প হচ্ছে বলে জানাল জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জিএসআই)।
কলকাতা শহরের এই ভূমিকম্পের (Earthquake) হাত থেকে নিস্তার নেই বরং শহর কলকাতা ‘সিসমিক জোন’ এ পড়ার কারণে নিয়মিত ভূমিকম্পের সাক্ষী হবে বলে সতর্ক করল বিশেষজ্ঞরা। সংস্থা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, বর্তমানে শহরবাসী ভূমিকম্পের কম্পনে আতঙ্কিত হয়ে উঠছে, ফি বছর ঘূর্ণিঝড়ের মতোই স্বাভাবিক একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়ে যাবে ভূমিকম্প।
আরও পড়ুন: হাওড়ায় গগনচুম্বী মিনার, কুতুব মিনারকেও ছাড়িয়ে যাবে
বৃহস্পতিবার কলকাতার জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর জেনারেল অসিত সাহা বলেন, বর্তমানে শহর কলকাতা অবস্থিত আলাদা আলাদা ব্লক বা পাতের উপর। পাতগুলি মুখোমুখি ধাক্কা লাগলে তা হল কনভারজেন্স, একে অপরের থেকে দূরে সরে গেলে ডাইভারজেন্স। এই প্লেটগুলো প্রতিনিয়ত নাড়াচাড়া করবে এবং যার ফলে কম্পন লেগেই থাকবে। এই কম্পন হওয়ার আসল উদ্দেশ্য হল যখনই প্লেটগুলোর নাড়াচাড়ায় কোন বিঘ্ন ঘটবে তখনই হবে কম্পন।
গবেষণার মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে যে, ইন্ডিয়ান প্লেটের উপর রয়েছে কলকাতা। ৫ সেন্টিমিটার করে প্রতিবছর তা সরে যাচ্ছে উত্তর পূর্বের ‘টিবেটান’ প্লেটের দিকে। দুটো প্লেটে লাগছে একটু একটু করে ধাক্কা। এমনিতেই বর্তমানে শহর জুড়ে তৈরি হয়েছে একাধিক বহুতল। এই প্লেটগুলো আদৌ কি সহ্য করতে পারবে ভূমিকম্পের অভিঘাত? এব্যাপারে ইন্সটিটিউট অফ টাউন প্ল্যানারস, ইন্ডিয়ার কাউন্সিল মেম্বার দীপঙ্কর সিনহা জানিয়েছেন, জিএসআই-র এই সমীক্ষার পর কলকাতা শহরের এসব বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছিল সেই বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে। এমন অনেক বাড়ি আছে যা তৈরি হয়েছে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের ছাড়পত্র ছাড়াই, যদি এভাবেই ঘনঘন ভূমিকম্প (Earthquake) হতে থাকে তাহলে ভেঙে পড়তে পারে সেইসব বাড়ি।