Guideline to stay cool: মদ, কোল্ড ড্রিঙ্কস চলবে না! কীভাবে গরমে কুল থাকবেন! কেন্দ্রের ৫ গাইডলাইন

Guidelines to keep yourself cool in this unbearable heat: চলতি বছরে রেকর্ড করা গরমে সবারই অবস্থা নাজেহাল। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রায় উত্তর ভারতের অবস্থা সত্যি শোচনীয়। এখনো তাপপ্রবাহ চলছে ওড়িশা, ঝাড়খন্ড এবং বিহারে। রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা ৪৩° সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। তবে দক্ষিণ ভারতের কেরালাসহ বিভিন্ন অংশে ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে বর্ষা। এছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এ রাজ্যের অবস্থা এখনো ভয়াবহ। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে তাপপ্রবাহের তীব্রতা চরমে উঠেছে। এই হিট ওয়েভ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় গাইডলাইন দিল পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য মন্ত্রক (Guideline to stay cool)।

রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে এই গরমে নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য (Guideline to stay cool) একাধিক গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথমেই বলা হয়েছে বাড়ির রান্নাঘর হতে হবে খোলামেলা। তাতে থাকতে হবে বড় বড় জানলা। রান্নাঘরের জানলা দরজা সব সময় খোলা রাখতে হবে যাতে ঠিকমতো হাওয়া চলাচল করতে পারে। রান্নাঘর যদি খোলামেলা না হয় সেখানে রান্না করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়বে বাড়ির মহিলারা।

দিনের যে সময় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ থাকবে সেই সময় কখনোই রান্নাঘরে যাওয়া উচিত না। সাধারণত দুপুরবেলা সবথেকে বেশি তাপমাত্রা থাকে, সেই গরমে রান্নাঘরে যেতে নিষেধ করেছে খাদ্যমন্ত্রক। ঘেমে নিয়ে রান্নাঘরে রান্না করতে বারণ করা হচ্ছে। বদ্ধ রান্নাঘরে কখনো রান্না করা উচিত না, এতে শরীর খারাপ হবার আশঙ্কা থাকবে। শরীরকে গরমের হাত থেকে রক্ষা করতে অর্থাৎ ঠান্ডা রাখতে (Guideline to stay cool) এই পদ্ধতি কাজে লাগানো যেতে পারে।

রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রক আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গাইডলাইন (Guideline to stay cool) দিয়েছে সেটি হল, এই অসহ্য গরমে ফ্রিজের বাসি খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত না। সবসময় টাটকা ফল ও সবজি গরমকালে খাওয়া উচিত, এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। এছাড়াও অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার শরীরের পক্ষে একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই গরমে প্রোটিন জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

এই তীব্র গরমে মদ্যপান করা উচিত না। শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ ফ্লুইড এর ফলে বেরিয়ে যায়। তাই গরমকালে রাম, হুইস্কি একেবারে বন্ধ। কফি এবং কোল্ড ড্রিঙ্ক দুটোই এই গরমে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। দুটো জিনিসই গরমকালে শরীরের ভীষণ ক্ষতি করে। অনেকেই এমন আছেন যারা তীব্র গরমের মধ্যে দাঁড়িয়ে কিংবা বাইরের গরম থেকে ভেতরে এসে ফ্রিজ খুলে কোল্ড্রিংস খান। তাদের জানানো হচ্ছে আগাম সতর্কবার্তা। এই কাজ করে আপনি নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন।