Tunnel: চার কিলোমিটার দীর্ঘ সুরঙ্গের কাজ শেষের পথে! ২১ মিটার প্রশস্ত রাস্তা জুড়লো গুরুগ্রাম-ভদোদরা

কেন্দ্রীয় সরকারের মোটা অংকের টাকা ব্যয় হওয়া সত্ত্বেও দেশের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সদা প্রস্তুত তারা। আর এবার দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নতুন পথে পা বাড়ালো দেশ। দেশের বুকে গড়ে উঠলো এক অত্যাধুনিক সড়ক। মূলত ভারতের প্রধান শহরগুলির মধ্যে যাতায়াতের সময় কমানোর লক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিনিয়ত হাইওয়ে, এক্সপ্রেসওয়ে, টানেল এবং ফ্লাইওভার গড়ে তুলছে দেশের বুকে। আর এই ইচ্ছা যেন নতুন করে রূপ পেল। কারণ ইতিমধ্যেই গুরুগ্রাম থেকে গুজরাতের ভদোদরা শহর পর্যন্ত নির্মিত এক্সপ্রেসওয়ের কাজ মোটামুটি শেষের পথে।

এই নির্মাণের কাজ আরম্ভ করতে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল রাজস্থানের আরাবল্লী পাহাড়ের বুক চিরে সুড়ঙ্গ গড়ে তোলা। কিন্তু স্বস্তির খবর এটাই যে নির্মাণ কাজে এখন ইতি টানা হয়েছে। এই টানেল প্রস্তুতের ফলে শুধুমাত্র দুটি শহরের মধ্যে দূরত্ব কমবে তা নয় বরং ভ্রমণের সময় অনেকta কমবে। এবার থেকে গুরুগ্রাম থেকে ভদোদরার পৌঁছানো যাবে মাত্র ১০ ঘণ্টায়। যেখানে আগে সময় লাগতো ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা।

আরও পড়ুন: Luxary Volvo Bus: ‘ব’ এ বাস নয় একে বিমান বললেই চলে! কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাত্রা হবে আরও আরামদায়ক

দিল্লি থেকে মুম্বই পর্যন্ত অপর একটি এক্সপ্রেসওয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকায়। আর ২০ শতাংশ মত কাজ করলেই শেষ হয়ে যাবে এই নির্মাণটি। দেশের বৃহত্তম এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে গন্য হয় এই ১,৩৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটটি যা বেশ কয়েকটি অংশে তৈরির কাজ চলছে। অপরদিকে, দিল্লি থেকে দৌসা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে যা ইতিমধ্যেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলের কাজও সম্পন্ন হতে চলেছে। যা চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের একটি বিরাট অংশ রাজস্থানের মধ্য দিয়ে গিয়েছে যা দৌসা পর্যন্ত গিয়ে আরও কিছুটা এগিয়ে কোটা জেলাতে গিয়ে পড়ে। ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে মুকুন্দ্রা পাহাড়ের কাছে এই দুই জেলার মধ্যে যার কাজও মোটামুটি শেষের পথে। গোটা কাজ শেষ হলে, এক্সপ্রেসওয়েটি সরাসরি পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে গিয়ে সমগ্র পাহাড়ি ভূখণ্ড অতিক্রম করবে। এই টানেলটিতে দুই লেন থাকবে। এর একটির কাজ শেষ হয়েছে। অন্যটির কাজ এখনো চলছে। মূলত এই সুড়ঙ্গয়ের কাজ হল মুকুন্দ্রা টাইগার রিজার্ভ অতিক্রম করে বন্য প্রাণীদের ক্ষতি না করে যানবাহন চলাচলের জন্য একটি অভিনব উপায় প্রদান করা।

এক্সপ্রেসওয়েটি একবারে গুজরাতের সীমান্তে প্রবেশ করবে মুকুন্দ্রা পাহাড়ে তৈরি এই সুড়ঙ্গ অতিক্রম করার পর। এই পথটি একটি করিডোর তৈরি করবে কোটা অঞ্চল এবং ভদোদরার মধ্যে। এভাবে খুব কম সময়েই মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে দিল্লি থেকে মুম্বই পৌঁছাতে পারবেন যাত্রীরা। বর্তমান সময় যা অতিক্রম করতে সময় লাগে ২৪ ঘণ্টারও বেশি।

৮ লেনের তৈরি হচ্ছে এই দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়েটি যার প্রস্থ হবে প্রায় ২১ মিটারের কাছাকাছি। যাতে খুব সহজে এটিকে ১২ লেনে সম্প্রসারিত করা যায় তাই এক্সপ্রেসওয়েটি অত্যাধুনিক ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ১২০ কিলোমিটার গতিতে যাতে এই এক্সপ্রেসওয়েটি গাড়ি চালানো যায় তাই এটিকে দ্রুতগতির ভ্রমণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ফলে আর্থিক দিক যেমন ফুলেফেপেঁ উঠবে ঠিক তেমনই পর্যটন শিল্পে ব্যাপকভাবে সফলতা আনবে।