Heartbreaking : জুতো চটি কেনার টাকা নেই, গরম রাস্তা থেকে সন্তানদের পা বাঁচাতে প্লাস্টিক পরালেন মা

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

To escape from the heat of the street, the mother put plastic on her children’s feet: গ্রীষ্মের এই তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের পক্ষে রাস্তায় বেরোনো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই চড়া রোদে পরিস্থিতি বাধ্য করেছে এক মাকে তার তিন সন্তান নিয়ে রাস্তায় বেরোনোর জন্য। ভিডিওটি (Heartbreaking) দেখলে আপনি চোখে জল ধরে রাখতে পারবেন না। তার কোলে এক কন্যা সন্তান ও হাতে দুইজন পুত্র সন্তান। কারোর বয়স খুব একটা বেশি নয়। রাস্তার পিচের গরম থেকে নিজের সন্তানদের বাঁচাতে পারে প্লাস্টিক জড়িয়ে দিয়েছেন মা। ভিডিওটি নিমেষে ভাইরাল হয়েছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়াতে।

Advertisements

মা রুক্মিণী তার তিন সন্তানকে নিয়ে তপ্ত রোদে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়েছে এক সাংবাদিকের ক্যামেরায়। এই ঘটনাটি দেখা গেছে মধ্যপ্রদেশের সিউপুরের রাস্তায়। গরমকালে পিচের রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটার মত দুঃসাহসিক কাজ কেউ করবে না। কিন্তু পরিস্থিতি চাপে পড়ে রুক্মিণী এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়াতে (Heartbreaking)।

Advertisements

সাংবাদিক ইনসাফ কুরেশি সেই ভিডিওটি (Heartbreaking) তুলে ভাইরাল করেছেন সমস্ত নেট দুনিয়াতে। সেই সময় থেকে বহু সাহায্যের হাত এগিয়ে এসেছে রুক্মিনের দিকে। কিন্তু সাংবাদিক ইনসাফ কুরেশি নিজে থেকেই রুক্মিণী ও তার সন্তানদের জন্য জুতোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

Advertisements

রুক্মিণী আসলে সাহারিয়া সম্প্রদায়ের লোক। স্বামী যক্ষায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য সংসারের বোঝা তারই কাঁধে। তিনি যখন যেরকম কাজ পান তখন সেরকমই করেন। ছোট ছোট সন্তানদের দেখার কেউ নেই বলে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে তাকে কাজে বেরোতে হয়। প্রচন্ড গরমে পিচের রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটার সাহস কারোর নেই। কারণ ওই তপ্ত গরমে খালি পায়ে হাঁটলে পায়ে ফোসকা পড়ে যেতে পারে। কিন্তু রুক্মিণীকে এই কঠিন পরিস্থিতির সামনাসামনি হতে হয় প্রত্যেক দিন।

কিন্তু সন্তানদের যাতে এই কঠিন পরিস্থিতির সামনাসামনি হতে না হয় তার জন্য তাদের পায়ের তিনি বেঁধে দিয়েছেন প্লাস্টিক। রুক্মিণীর এই ছবি পৌছায় রাজ্যের প্রশাসনের কাছে, এমনকিমহিলা এবং শিশু উন্নয়ন দফতরের কাছেও। সিউপুরের জেলাশাসক সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, ওই পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব এখন থেকে রাজ্য সরকার নেবে।

Advertisements