সময়ের পরিবর্তনকে সাক্ষী রেখে ভারতীয় রেল দ্রুত উন্নতির শিখরে পৌঁছাচ্ছে। দেশের সর্বস্তরের মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রোজ হাজার হাজার ট্রেন নন স্টপ পরিষেবা প্রদান করে চলেছে। লোকাল, এক্সপ্রেস, মেল, হাই স্পিড ট্রেন কোনটা নেই দেশের বুকে? ভারতীয় রেলকে তাই লাইফ লাইন বলা একবারে যথার্থ। আবার কয়েক বছর পর অত্যাধুনিক বুলেট ট্রেন ঝড়ের গতিতে ছুটে বেড়াবে দেশের বুকে।
স্বাধীনতার পর ভারতের রেল পরিষেবা ধীরে ধীরে দেশের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়েছে। কম খরচে দীর্ঘপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে রেলের সঙ্গে তুলনা করা যায়, এমন অন্য কোনও পরিবহণ ব্যবস্থা দেশে নেই। তবে ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এমন অসংখ্য তথ্য রয়েছে যা অবাক করার মতো। যেমন ধরুন দেশের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের কথা শুনেছেন আগে? জানেন এই যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিটের ভাড়া কত ছিল? এ প্রশ্নে অনেকেই বিভ্রান্ত হন।
আরও পড়ুন: মিনারেল ওয়াটারের জল মানেই কী বিশুদ্ধ? অসুখ না বাঁধাতে চাইলে এই কাজগুলি করুন
ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হয়েছিল ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল। আজকের মুম্বই, সেই সময়ের বোরি বন্দর থেকে থানে পর্যন্ত চলেছিল এই ট্রেন। এটি পরিচালনা করেছিল গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলা রেলওয়ে। মাত্র ৩৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিল সেই ঐতিহাসিক ট্রেনটি।
তখনকার দিনে প্রথম শ্রেণির টিকিটের দাম ছিল মাত্র ৩০ পয়সা। দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া ধার্য হয়েছিল ১৬ পয়সা, ‘ইন্টারমিডিয়েট’ শ্রেণির যাত্রীরা ৯ পয়সা গুনতেন, আর তৃতীয় শ্রেণির যাত্রীদের ভাড়া ছিল মাত্র ৫ পয়সা। পরবর্তী কালে এই ভাড়ায় সামান্য পরিবর্তন এনে দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য ১ টাকা এবং প্রথম শ্রেণির জন্য ২ টাকা নেওয়া শুরু হয়।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই ভাড়ার অঙ্ক শুনে অনেকেই চমকে যান। সময়ের সঙ্গে যেমন প্রযুক্তি বদলেছে, তেমনই রেলযাত্রার খরচেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।