CBI দপ্তরে আজই হাজিরা, যাওয়ার আগে মমতাকে বিঁধলেন মুকুল

নিজস্ব প্রতিবেদন : নারদ কাণ্ডে তদন্তে নেমে সিবিআই প্রথম গ্রেপ্তার করে আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে। এরপরই শুরু হয় কাউন্টডাউন মুকুল রায়ের, জল্পনা এমনটাই। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মির্জাকে গ্রেপ্তার করার পরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে মুকুল রায়কে।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আইপিএস অফিসার মির্জার মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। শুক্রবার নিজাম প্যালেসে মুকুল রায়ের হাজিরা হওয়ার নির্দেশ থাকলেও তিনি সেদিন হাজিরা এড়ান।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে আসে নারদ কান্ড। নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের সংস্থা স্ট্রিং অপারেশন চালায় তৃণমূল নেতা নেত্রীদের উপর। সেসময় মুকুল রায় ছিলেন অন্যতম মুখ। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি কাজ করানোর জন্য একাধিক নেতা নেত্রীদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে। যাদের সবার সাথে ম্যাথু স্যামুয়েলের যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছেন আইপিএস অফিসার মির্জা।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয় তদন্ত। তদন্তভারের দায়িত্ব বর্তায় সিবিআইয়ের হাতে। বিগত কয়েক বছর ধরে তদন্ত চলার পর অবশেষে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয় আইপিএস অফিসার মির্জাকে।

যদিও মুকুল রায় আইপিএস অফিসার মির্জার সাথে তার সম্পর্ক ছিল সে কথা স্বীকার করে সাফাই দিয়েছেন, “ওরা ব্যবসার জন্য এসেছিল, আমি তখন মির্জার সাথে ওদের দেখা করতে বলি। কিন্তু কোন টাকা লেনদেনের কথা বলিনি।” এরপর প্রশ্ন উঠে ব্যবসার জন্য এলে আইপিএস অফিসারের সাথে দেখা করার কথা কেন বলা হয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে মুকুল রায় জানান, “ওরা বর্ধমানের ব্যবসা করতে এসেছিল ব্যবসা করার জন্য জমি জায়গা লাগে। আর জমি জায়গা পেতে হলে পুলিশ অফিসারদের প্রয়োজন হয়।”

মুকুল রায় গতকাল নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে না গেলেও জানিয়েছেন আজ অর্থাৎ শনিবার দুপুর তিনটের পর তিনি পৌঁছে যাবেন সিবিআই দপ্তরে। গতকাল তাঁর সিবিআই দপ্তরে না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে কি তিনি সিবিআইকে এড়িয়ে চলছেন?

এ প্রসঙ্গে মুকুল রায় সাংবাদিকদের জানান, “আমি মমতার মতো ভীতু নই। সিবিআইকে চিঠি পাঠিয়েছি। আজ দুপুর তিনটের পর যে কোনও সময় সিবিআই ডাকলে যাবো। সিবিআই যখনই ডাকবে তখনই তদন্তে সহযোগিতা করবো৷ এটা আমার অঙ্গীকার। একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে এটা বলছি৷”

কিন্তু তার আগে না যাওয়া প্রসঙ্গে মুকুল রায় এও জানান, “দুপুর তিনটে পর্যন্ত তর্পণ রয়েছে। আমিও তর্পণ করবো। এছাড়া আমাদের দলের শহিদ পরিবারের তর্পণ কর্মসূচিতে থাকবো।” এরপরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে মুকুল বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নই যে পালিয়ে যাচ্ছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো প্রথম দিন থেকে বলেছিলেন, সিবিআইকে অসহযোগিতা করো।”