এত বড় সাফল্য! দারিদ্র দূরীকরণে বিশ্বকে পথ দেখাল ভারত, মোদির প্রশংসায় রাষ্ট্রসংঘ

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বে যে সকল দেশে সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্যসীমার নিচে মানুষ বসবাস করেন তাদের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হিসেবে ভারতকেও পরিগণিত করা হত। করা হতো এই কারণেই বলা হচ্ছে, কারণ দিন যত এগিয়ে যাচ্ছে ভারত ততই দারিদ্র দূরীকরণ করতে সক্ষম হচ্ছে। রীতিমত বিশ্বকে পথ দেখাতে শুরু করেছে ভারত। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতের এবং মোদি সরকারের (Modi Government) ভূয়সী প্রশংসা করলো রাষ্ট্রসংঘ (United Nations)।

দারিদ্র দূরীকরণের বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সঙ্গে যৌথভাবে অক্সফোর্ড পভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্টে রীতিমত চমক দেখা যাচ্ছে ভারতে দারিদ্র দূরীকরণের বিষয়ে। মাত্র কয়েক বছরে ভারত এইভাবে দারিদ্র দূরীকরণ করতে সক্ষম হবে তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাও আবার কোভিড কালের মত দুর্বিসহ অবস্থাতেও।

রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গত ১৫ বছরে দেশের দরিদ্র নাগরিকদের অর্ধেক নাগরিককে দারিদ্র সীমা থেকে বের করতে সক্ষম হয়েছে সরকার। দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের আর্থিক উন্নতির জন্য সরকারের তরফ থেকে যে সকল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেই সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়িত বলেই দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এই সকল বিষয়ের রাষ্ট্রসংঘ আশাবাদী, সরকারি এমন সব প্রকল্পের হাত ধরে আগামী দিনেও ভারত দেশে থাকা দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের দারিদ্র্যসীমা থেকে বের করতে সক্ষম হবে।

এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে ২০০৫-০৬ থেকে ২০১৯-২১ সাল পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে। রিপোর্ট অনুযায়ী যেখানে ভারতের দারিদ্রসীমা ৫৫.১% থেকে বেরিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.৪%। অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী এই ১৫ বছরে দেশের সাড়ে ৪১ কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র সীমার উপরে উঠে এসেছেন।

২০০৫ সালে দেশে ৬৪ কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করতেন। কিন্তু ১৫ বছর পর এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি। যদিও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কোভিড অতিমারির সময় সঠিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। হবে তাহলেও যে সংখ্যা পাওয়া গিয়েছে তাতেই ভারত এখন বিশ্বকে আশার আলো দেখাচ্ছে।