নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন যত এগিয়ে চলেছে ততই ভারতীয় রেল (Indian Railways) তাদের উন্নতি সাধন করে চলেছে। ভারতীয় রেলের এমন উন্নতি সাধনের উদাহরণ বারেবারে মিলে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে সিকিমের মতো পাহাড়ি রাজ্যে রেল পরিষেবা চালু করার জন্য কাজ চালানো। ঠিক সেই রকমই এবার ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এমন এক রেললাইন চালু করা হচ্ছে, যার হাত ধরে আরো সহজে পৌঁছে যাওয়া যাবে কেদারনাথ (Kedarnath)।
পর্যটক থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা সেক্টরের উন্নতি সাধনের জন্য ভারতীয় রেল যেমন পাহাড় কেটে কেটে সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেললাইন চালু করার কাজে তোড়জোড় শুরু করেছে, ঠিক সেই রকমই উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যেও ভারতীয় রেল তাদের বেশ কিছু প্রকল্প চালাচ্ছে। হিমালয়ে প্রবেশ আরো সহজ করার জন্য একদিকে যেমন বিভিন্ন সড়কের কাজ চালানো হচ্ছে, ঠিক সেই রকমই রেলের তরফ থেকে কাজ চালানো হচ্ছে ঋষিকেশ থেকে কর্ণপ্রয়াগ পর্যন্ত রেললাইনের।
ঋষিকেশ থেকে কর্ণপ্রয়াগ পর্যন্ত মোট ৮৭ মাইল অর্থাৎ ১২৬ কিলোমিটার রেলপথের কাজ করা হবে। ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর এই প্রকল্পের কাজের জন্য শিলান্যাস হয়েছিল, তবে সেই কাজ এখনো পর্যন্ত শেষ হয়নি মূলত বিভিন্ন সময় সরকার পরিবর্তনের কারণে। সম্প্রতি উত্তর রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শোভন চৌধুরী মৌসুরিতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এসে জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
উত্তরাখণ্ডের এই রেল প্রজেক্টের জন্য ১৬২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হলেই কর্ণপ্রয়াগের ভ্রমণের সময় ৬ থেকে ৭ ঘন্টার জায়গায় লাগবে মাত্র ২ থেকে ৩ ঘন্টা। এই রেল প্রজেক্টের ১২৬ কিলোমিটার রেল লাইনের মধ্যে ১০৫ কিলোমিটার রেল লাইন যাবে টানেলের ভিতর দিয়ে। এই রেল প্রজেক্টেরই দেবপ্রয়াগ থেকে লাছমোলির মধ্যে ১৫.১ কিলোমিটারের একটি টানেল তৈরি করা হবে, যেটি ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘ রেল টানেল হতে চলেছে।
উত্তরাখণ্ডের এই রেল প্রজেক্টের ইতিহাসের দিকে তাকালে বলা যায়, ১৯৯৬ সালে প্রথম এই রেল প্রজেক্টের কাজ শুরু করার জন্য সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন সৎপাল মহারাজ। তবে জমি জরিপের কাজ ছাড়া আর তখন কিছু এগোয়নি। পরবর্তীতে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হলেও কাজ হয়নি এবং ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার কেন্দ্রে এলে পুনরায় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। আর এখন ২০২৪ সালে জানা গেল, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এখনো পর্যন্ত এই রেল প্রজেক্টের কাজ ৭০ শতাংশ হয়েছে।