Rail Engine: পার্কের নামে রাখা হল আস্ত ইঞ্জিনের নাম, বাংলাকে বড় উপহার দিল রেল

Prosun Kanti Das

Published on:

Indian Railways named the entire Rail engine after the name of the park: বাংলার আলিপুরদুয়ার জেলার অবস্থিত এক বিশেষ পার্ক হল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। যা একটি নদীকেন্দ্রিক বনাঞ্চল বিস্তৃত তৃণভূমি। যে জায়গাকে বলা হয় বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ এবং প্রাণীর সুরক্ষা কেন্দ্র। ১৯৪১ সালে যে জায়গাটিকে অভয়ারণ্য হিসেবে নামাঙ্কিত করা হয়। যে জায়গার প্রায় বহু অংশই গত ৫০ বছর পূর্বে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় এখনো জ্বলজ্বল করছে তার বিষন্নতার ছবি। এবার সেই অভয়ারণ্য নিয়েই এক বিশেষ চমক দেখালো ভারতীয় রেল (Rail Engine)। বলা যায় সাধারণ মানুষের মনে এই অভয়ারণ্যকে গেঁথে রাখার জন্য এক দারুন উদ্যোগ নিলে ভারতীয় রেল। কী সেই উদ্যোগ?

সম্প্রতি ভারতীয় রেল তরফে একটি ইঞ্জিন তৈরি করা হয়েছে। যে ইঞ্জিনটি ডিজেল লোকোমোটিভ ইঞ্জিল। আর সেই ইঞ্জিনের মাধ্যমেই বাংলাকে এক বিশেষ উপহার দিল ভারতীয় রেল। ইঞ্জিনের (Rail Engine) সাথে সংযুক্ত করল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের নাম। বিষয়টি ঠিক কী?

যদি পরিষ্কার করে বলতে হয় তাহলে বলতে হবে ভারতীয় রেল যে ডিজেল লোকোমোটিভ ইঞ্জিন তৈরি করেছে সেই ইঞ্জিনের নাম নামাঙ্কিত করেছে বাংলার এই অভয়ারণ্যের নামে। অর্থাৎ ভারতীয় রেলের তৈরির ডিজেল লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের নাম রাখা হয়েছে “জলদাপাড়া ন্যাশনাল পার্ক”। যা ইঞ্জিনের সামনে লাল কালি দিয়ে পরিষ্কার করে লেখা হয়েছে। তবে শুধু ইঞ্জিনের নাম রেখেই যে পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষ উপহার দিয়ে খুশি করেছে তা নয়, সেই অভয়ারণ্যের চিহ্ন অঙ্কিত হয়েছে এই ইঞ্জিনে। কি রকম?

আরও পড়ুন 👉 Odisha Special Trains: রথের সময় সহজেই যাওয়া যাবে পুরি, ২ জোড়া স্পেশাল ট্রেন দিল রেল, দেখে নিন সময়সূচী

ভারতীয় রেলের তৈরি এই ডিজেল লোকোমোটিভ ইঞ্জিনে অঙ্কিত হয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিশেষ একশৃঙ্গ গন্ডারের ছবি। এই ইঞ্জিনের প্রধান অংশে রং করা হয়েছে সবুজ। এছাড়াও ইঞ্জিনের গায়ে রং করা হয়েছে অভয়ারণ্যের জঙ্গল, নদী, পাহাড় ইত্যাদির বিশেষ রং। ভারতীয় রেলের এই অভিনব উদ্যোগ দেখে খুশিতে আত্মহারা বনকর্মী সহ পরিবেশকর্মীরা। বিশ্বের দরবারে এই ঐতিহ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন বনকর্মীরা।

তথ্যসূত্রে খবর দেশের হেরিটেজ বলা হয় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও একশৃঙ্গ গন্ডারকে। কারণ এখানকার শীর্ষকর্তারা, বনকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সংরক্ষণ করত একশৃঙ্গ গন্ডার। সাম্প্রতিক এই অভয়ারণ্যে গন্ডারের সংখ্যা রয়েছে ২৯২টি। মূলত অভয়ারণ্যের কর্তৃপক্ষকে কুর্নিশ জানাতেই এই উদ্যোগ ভারতীয় রেলের। যা দেখে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে রেল যাত্রীরা। উল্লেখ্য বিষয় বর্তমানে বালুরঘাট থেকে নিউ জলপাইগুড়ি রুটে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস নিয়ে দৌড়াচ্ছে রেলের এই নতুন ইঞ্জিন (Rail Engine)।