জীবনকৃষ্ণ কেন পুকুরে ছুঁড়ে ছিলেন ফোন! ফাঁস হল কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন চর্চায় মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (JibanKrishna Saha)। তিনি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার থেকেও বেশি চর্চায় তার দুটি ফোন পুকুরে ছুঁড়ে দেওয়ার কারণে। পুকুরে ছুঁড়ে দেওয়া যে দুটি ফোন উদ্ধার করতে সিবিআই আধিকারিকদের কালঘাম ছুটে যায়। যে দুটি ফোন উদ্ধার করতে সময় লাগে ৭০ ঘণ্টার বেশি। কিন্তু কেন সেই দুটি ফোন জীবনকৃষ্ণ ছুঁড়ে ফেলেছিলেন পুকুরে! এবার তিনি নিজেই তার কারণ ফাঁস করলেন।

জীবনকৃষ্ণ সাহাকে সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ গ্রেপ্তার করার পর তাকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালত জীবনকৃষ্ণ সাহার চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সেই মেয়াদ শেষ হলে শুক্রবার তাকে পুনরায় আদালতে পেশ করেন সিবিআই আধিকারিকরা এবং ফের একবার হেফাজতে চান। এদিন আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর পুনরায় জীবনকৃষ্ণকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

জীবনকৃষ্ণ কেন তার দুটি ফোন পুকুরের জলে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন সেই নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের তথ্য তুলে ধরেছেন। ফোনে থাকা গোপন তথ্য নষ্ট করে দেওয়ার জন্যই জীবনকৃষ্ণ এমন কাজ করেছেন সেই তত্ত্ব উঠলেও ধোঁয়াশার শেষ নেই। এই সকল ধোঁয়াশার মধ্যেই জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী এদিন আদালতে জানান কেন বিধায়ক তার দুটি ফোন পুকুরের জলে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন।

পুকুরে ফোন ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার কারণ হিসাবে জীবন কৃষ্ণের আইনজীবী আদালতকে জানান, “ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। জীবনকৃষ্ণের মেয়ে শিলিগুড়িতে পড়াশোনা করেন। প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলায় বাবা ও মেয়ের মধ্যে কথাবার্তা হয়। জীবনকৃষ্ণ মেয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোনটি ফেরত দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা না দেওয়ার কারণে হঠাৎ তিনি রেগে যান এবং ফোন দুটি পুকুরের জলে ছুঁড়ে ফেলে দেন।”

তবে জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী ফোন পুকুরে ছুঁড়ে দেওয়ার কারণ হিসাবে এমন তত্ত্ব পেশ করলেও বিরোধীরা এবং বিভিন্ন মহল এই কারণকে কোনভাবেই মেনে নিতে চাইছেন না। বিরোধীদের দাবি, তথ্য গোপন করার জন্যই জীবনকৃষ্ণ এমনটা করেছিলেন।