Jio Electric Scooter : গ্রাহকদের দুর্দান্ত রিচার্জ প্ল্যান সহ আরও নানান পরিষেবা প্রদান করে প্রথম সারির টেলিকম সংস্থা হিসেবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মুকেশ আম্বানির জিও। আর এবার গ্রাহকদের নিত্যদিনের যাতায়াতে বাড়তি সুবিধা দিতে ইলেকট্রিক স্কুটি নিয়ে মাঠে নামছে জিও। মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধ ও সাধ্য দুই পূরণের লক্ষে এই দুর্দান্ত স্কুটি নিয়ে বাজার দখলে প্রস্তুত জিওর ইলেকট্রিক স্কুটি। যা একবার চার্জ দিলেই দৌড়াবে টানা ১২০ কিমি। অন্যান্য কোম্পানির ইলেকট্রিক স্কুটিকে সহজে টেক্কা দেবে জিওর এই স্কুটি।
কারণ এই স্কুটির সিম্পল ডিজাইন, চোখ ধাঁধানো ফিচার্স, অতিরিক্ত মাইলেজ এবং দাম সবকিছুই অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এই নতুন স্কুটারটি তৈরি হয়েছে বেশ সিম্পল ডিজাইনের ওপর। যা চালকরা নিত্যদিনের ব্যবহারের পর চটজলদি পরিষ্কার করতে পারবেন। তবে শুধু ডিজাইনই নয়, এটিতে রয়েছে বড় ফ্লোরবোর্ড, ১২-ইঞ্চি বিশিষ্ট চাকা, চওড়া-কুশনযুক্ত সিট রাইডার এবং পিলিয়ন যা চালক এবং যাত্রী উভয়ের জন্যই আরামদায়ক হবে৷ এই স্কুটির বাড়তি আকর্ষণ হল এই স্কুটির স্লিম বডি। যার কারণে চালক ট্র্যাফিককে পিছনে ফেলে অতি সহজেই সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।
১১ Nm-এর টর্ক সহ একটি শক্তিশালী ৪ kW মোটর রয়েছে এই স্কুটিটিতে। এই নতুন স্কুটিতে মোট তিনটি রাইডিং মোড রয়েছে। প্রথমটি হল ইকো মোড যা চালককে ভিড় রাস্তায় সর্বোচ্চ রেঞ্জ দিয়ে থাকে, দ্বিতীয়টি হল সিটি মোড, এটি চালকের রোজের ব্যবহারের পক্ষে উপযোগী, তৃতীয়টি হল স্পোর্ট মোড, যা চালককে ফাঁকা রাস্তায় ঝড়ের গতি দিয়ে থাকে। এই স্কুটিতে রিজেনারেটিভ ব্রেকিং এর সুবিধা থাকার ফলে চালক গতি কমিয়ে স্কুটি চালানোর সময় স্কুটির ব্যাটারি রিচার্জ হতে শুরু হয়।
এই স্কুটি প্রতিবার চার্জের পর ৮০-১০০ কিমির একটি দুর্দান্ত রেঞ্জ দেয়। যদিও জিওর মত অনুযায়ী আদর্শ অবস্থায় এই স্কুটি ১২০ কিমি রেঞ্জের দাবি করে। এছাড়া এটিতে ৩.২ kWh এর লিথিয়াম-আয়ন, জল-প্রতিরোধী (IP67) ব্যাটারি রয়েছে। ৪.৫ ঘন্টা সময় লাগে এই স্কুটিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে। মাত্র ২ মিনিটের মধ্যেই জিওর স্টেশনগুলিতে ব্যাটারি পাল্টানো যাবে।
ফিচারস এর দিক থেকে জিওর এই নতুন স্কুটিটি অন্য সব ইলেকট্রিক স্কুটিকে পিছনে ফেলে দেবে। কারণ এই স্কুটিতে রয়েছে টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট সাসপেনশন + রিয়ার মনো শক, সিবিএস ব্রেকিং, অ্যান্টি-স্কিড টায়ার, ভয়েস নেভিগেশন, জিও মার্ট ইন্টিগ্রেশন এর মতো অত্যাধুনিক কিছু ফিচার্স। চালককে চিন্তা মুক্ত রাখতে এই স্কুটিতে রয়েছে 4G LTE কানেকশন, যা চালককে তার স্কুটিটি সহজেই ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে।
অন্যদিকে, এটিতে থাকা চুরির সতর্কতা এবং জিও-ফেন্সিং পান, স্কুটিটি নিরাপদ অঞ্চলের বাইরে চলে গেলে নোটিফিকেশন দিতে সাহায্য করবে চালককে। প্রতি ঘন্টায় ৭৫ কিমি গতিবেগ দিয়ে থাকায় এই স্কুটারটি চালাতে প্রতি কিমির খরচ পড়ে মাত্র ৩০ পয়সা, যা পেট্রোল যুক্ত স্কুটারের থেকে ৫ গুণ কম। এই স্কুটির রক্ষণাবেক্ষণ খরচও চালকের সাধ্যের মধ্যে, কারণ এতে ইঞ্জিন তেল, স্পার্ক প্লাগ বা ক্লাচ অ্যাডজাস্টমেন্টের বাড়তি খরচ নেই। তাই এই নতুন ইলেকট্রিক স্কুটি কিনলে রোজকার জীবনযাত্রার মান হবে আরও সহজ।