‘দুয়ারে সরকার’-এ এবার চাকরির দিশা, নয়া ভাবনা নিয়ে হাজির সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের তৃণমূল সরকার হাজির হয় দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তৃতীয়বার সরকারে আসার ক্ষেত্রে এই প্রকল্প টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায় রাজ্য সরকারের কাছে। এই প্রকল্প টার্নিং পয়েন্ট হওয়ার পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকে তা জারি রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বছরে অন্ততপক্ষে চারটি করে দুয়ারে সরকার প্রকল্প করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। অন্যদিকে আবার তৃণমূল সরকারে প্রত্যাবর্তনের পর তাদের বর্তমান লক্ষ্য শিল্প এবং কর্মসংস্থান। তাই এবার এই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কেবলমাত্র সরকারি সুবিধাকে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিয়ে ক্ষান্ত থাকতে চাইছে না তারা। এবার এই প্রকল্পের মধ্য দিয়েই চাকরির দিশা দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দপ্তর।

জানা গিয়েছে রাজ্যের চাকরিপ্রার্থী যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে যে দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হবে তাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে ডিরেক্টরেট অব ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং-এর তরফ থেকে।

কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, “প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতি মাসে ১০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পরে আরও সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।”

জানা যাচ্ছে, কারিগরি শিক্ষা দপ্তর ‘আমার কর্মদিশা’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। এই অ্যাপের মধ্য দিয়েই চাকরিপ্রার্থী যুবক-যুবতীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির উপযোগী করে তোলা হবে। দুয়ারে সরকার প্রকল্পে নিযুক্ত কর্মীরা এই অ্যাপের মাধ্যমে কিভাবে সুবিধা পাওয়া যাবে তা নিয়ে যুবক যুবতীদের জানাবেন। প্রতিটি জেলার ক্ষেত্রে নিয়োগ করা হচ্ছে একজন করে প্রজেক্ট ম্যানেজার।

জানা যাচ্ছে এই প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে চাকরির দিশা দেওয়ার জন্য একাধিক বেসরকারি সংস্থাকে এই উদ্যোগে সামিল করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এই সকল বেসরকারি সংস্থার তরফ থেকেই। যেসকল চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন করবেন তাদের কোন টাকা জমা দিতে হবে না। পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট সংস্থা অর্থাৎ যে সমস্ত প্রশিক্ষণ চলবে সেখান থেকেই ভাতা হিসেবে কিছু অর্থ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ হলে থাকছে কাজের নিশ্চয়তাও।