৪টে বিলাসবহুল গাড়ি, চোখ ধাঁধানো বাড়ি, কি কি রেখে গেলেন কে কে

নিজস্ব প্রতিবেদন : তথাকথিত কোন প্রতিষ্ঠান অথবা কোন শিক্ষাগুরুর থেকে তালিম না নিয়েও বিখ্যাত গায়ক হয়ে দেখিয়েছিলেন কে কে। এমনকি তাকে একসময় সেলসম্যানের চাকরিও বেছে নিতে হয়েছিল। তবে সে সব ছেড়ে ফের সংগীতজগতে মন দেওয়া এবং বিখ্যাত শিল্পী হয়ে ওঠায় ছিল তার লক্ষ্য।

বিখ্যাত এই সঙ্গীতশিল্পী মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে এসে চিরতরে বিদায় নেন। নজরুল মঞ্চ থেকে অনুষ্ঠান করে হোটেলে ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। একশোর বেশি সুপার হিট গানের রেকর্ড তৈরি করা এমন সংগীতশিল্পীর অকাল প্রয়াণে শোকোস্তব্ধ সংগীত জগত, বাকরুদ্ধ অনুরাগীরা।

সদ্য প্রয়াত এই সংগীতশিল্পীর প্রথম অ্যালবাম পল বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই অ্যালবামের ‘ইয়ারো দোস্তি বড়ি হি হাসিন হ্যায়’ গানটি এখনো তরুণ প্রজন্মের মুখে মুখে শোনা যায়। এ আর রহমানের সংগীত পরিচালনায় সিনেমার গানে পদার্পণ ঘটে কে কের। তবে তার বলিউডের সবচেয়ে বড় ব্রেক ছিল ‘হাম দিল দে চুকে সনম’। তবে শুধু হিন্দি নয়, এর পাশাপাশি তিনি বাংলা, তামিল, তেলেগু, মারাঠি, কন্নড় ভাষাতেও গান গেয়েছেন।

বিখ্যাত এই সঙ্গীতশিল্পী কেকে প্রথম জীবনে খুব লড়াই করে এই জায়গায় এসে পৌঁছালেও তার সম্পত্তি খুব একটা কম নয়। ইংরেজি একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, মার্কিন ডলারে কেকের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ডলার। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রতি গান হিসাবে কেকে পারিশ্রমিক হিসেবে নিতেন ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা। অন্যদিকে লাইভ কনসার্টের জন্য তিনি পারিশ্রমিক হিসেবে নিতেন ১০-১৫ লক্ষ টাকা।

জীবনের নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি মুম্বাইয়ে তিনি তৈরি করেছিলেন একটি চোখ-ধাঁধানো বাড়ি। এছাড়াও কে কে দামি গাড়িতে চড়তে পছন্দ করতেন। তার কাছে রয়েছে চারটি বিলাসবহুল গাড়ি। এই সকল বিলাসবহুল গাড়িগুলি হল অডি আরএস৫, জিপ চেরোকে, মার্সেডিজ। মাঝে মাঝে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এইসকল গাড়ির ছবি পোস্ট করতেন কে কে।