বীরভূমের পর্যটন মানচিত্রে নতুন করে নাম লিখতে চলেছে একটি গ্রাম। একটি কালী মন্দিরের দৌলতেই নতুন করে বীরভূমের মানচিত্রে ওই গ্রামের নাম উঠতে পারে, আর এর ফলে আবার গ্রামের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো থেকে শুরু করে অন্যান্য যাবতীয় পরিকাঠামোই বদল আসতে পারে বলেই আশা করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
যে গ্রামের কথা বলা হচ্ছে সেই গ্রামটি হল ইতণ্ডা। বীরভূমের ইতণ্ডা এমন একটি গ্রাম যেখানে শত শত বছরের অজস্র মন্দির রয়েছে। এই গ্রামেই রয়েছে হাটকা কালী মন্দির নামে একটি কালী মন্দির। টেরাকোটা এবং প্রাচীন বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি এই মন্দির কম করে ৫০০ বছরের পুরাতন বলেই জানা যাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে। এই কালীমন্দিরে রটন্তী কালীপুজোর দিন পুজো করা হয়। এছাড়াও রয়েছে নিত্য পূজোর ব্যবস্থা। রটন্তী পুজোর দিন ছাড়াও যারা বোলপুর শান্তিনিকেতন ঘুরতে আসেন সেই সকল পর্যটকরাও এই কালীমন্দিরে এবং এই গ্রাম ঘুরে যান।
আরও পড়ুন: আর গরমে পচতে হবে না! এবার সরকারি প্রাইমারি স্কুলেও এসি কম্পিউটার ক্লাসরুম
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার এই মন্দিরটিকে সংস্কারের কাজে অর্থ বরাদ্দ করবে। ৫০০ বছরের বেশি প্রাচীন ভগ্নপ্রায় এই মন্দির সংস্কার করা হলে মন্দিরের প্রচুর পরিমাণে পর্যটকদের আগমন হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। আর পর্যটকদের আগমন ঘটলেই এলাকার অর্থনৈতিক পরিকাঠামোই বদল আসবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এখানে যে কালী মাতার পুজো করা হয় সেই কালীমাতার পুজো শুরু করেছিলেন হাড় কাটা জাতির মানুষেরা। তবে ঠিক কখন এই মন্দিরে কালির পুজো করা হতো তার সম্পর্কে এলাকার বাসিন্দারা জানতেন না। পরবর্তীতে রটন্তী কালীপুজোয় এই মন্দিরের কালী পুজো করা যেতে পারে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তারপর থেকে রটন্তী কালী পুজোতেই বাৎসরিক কালী পুজো হয় এই হাটকা কালী মন্দিরে।