ঠাঁস করে অনুরাগীকে চড় নানা পটকরের! ভিডিও ভাইরাল হতেই জানা গেল আসল সত্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচের দিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাদা ভাবে নজর কেড়েছে প্রখ্যাত অভিনেতা নানা পাটেকরের (Nana Patekar) একটি ভিডিও (Viral Video)। দীর্ঘদিন পর বিখ্যাত এই অভিনেতাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে দেখা গিয়েছে, তবে তিনি অন্য কারণে এবার ভাইরাল। এবার মূলত তার ভাইরাল হওয়া ভিডিও ঘিরে তৈরি হয়েছে নানান বিতর্ক। যা নিয়েই বুধবার থেকে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া।

নানা পাটেকরের ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি একটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সম্ভবত শুটিংয়ের কাজ চলছিল। ঠিক সেই সময় পিছন থেকে অল্পবয়সী এক অনুরাগী তার মোবাইল নিয়ে তার সঙ্গে একটি সেলফি তুলতে আসেন। কিন্তু সেই সময় নানা পটেকর এইভাবে সেলফি তুলতে আসা যুবককে ঠাঁস করে মাথায় একটি থাপ্পড় কষান। এরই সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা ওই যুবককে ঠেলে সরিয়ে দেন।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে এবং ওই ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, অভিনেতা একসময় বারাণসীতে ছিলেন এবং সেই সময়ই এমন ঘটনা ঘটে। তবে এই ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হওয়ার পর এই ভিডিওর আসল সত্য সামনে এলো। আসল সত্য সামনে এনেছেন পরিচালক অনিল শর্মা।

পরিচালক অনিল শর্মা জানিয়েছেন, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিওটি সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে অসত্য। তার দাবি, এটি তার একটি প্রজেক্টের দৃশ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে দাবি করা হচ্ছে সেটি ঠিক নয়। আসলে যে দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে এবং যা নিয়ে এখন এত সমালোচনা সেটি আসলেই তার সিনেমার একটি দৃশ্য।

তিনি জানিয়েছেন, সিনেমার দৃশ্যতেই এমন ছিল যেখানে একটি ছেলেকে মাথায় চড় মারবেন নানা পটেকর। সেই মতোই সবকিছু সাজানো হয়েছিল এবং বেনারসের মাঝামাঝি রাস্তায় শুটিং করার সময় ওই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করা হয়। নানা পাটেকর কাউকে আঘাত করার জন্য এমন ঘটনা ঘটান নি। বরং তিনি সিনেমার দৃশ্য শুট করার জন্যই মজার ছলে ওই যুবককে মজা করে মাথায় চড় মেরেছিলেন।

অন্যদিকে অনিল শর্মা এই দৃশ্যকে সিনেমার দৃশ্য বলে দাবি করলেও নানা পাটেকর পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও আপলোড করে জানিয়েছেন, থাপ্পড় মারার ঘটনা সিনেমার দৃশ্য ছিল না। আসলে তিনি ওই যুবককে বুঝতে পারেননি যে ওই যুবক তাদের টিমের কেউ নয়। নানা পাটেকরের কথা অনুযায়ী বিষয়টি পুরোপুরি ভাবে তার অজান্তেই এবং অনিচ্ছাকৃতভাবেই ঘটেছে। এর পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, যখনই তার সঙ্গে কেউ ছবি তুলতে আসেন তিনি কাউকেই বারণ করেন না।