মানহানি থেকে ষড়যন্ত্র, কোন কোন ধারায় মামলা রুজু রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদন : উচ্চশিক্ষিত, গবেষক, এমনকি লেখক অনির্বাণ রায় রাতারাতি পরিণত হন রোদ্দুর রায় নামে। হাতে নেশাদ্রব্য নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা, ইত্যাদি তার অঙ্গ। এইসবকে হাতিয়ার করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোড করে রোদ্দুর রায় এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।

রোদ্দুর রায় নিজেকে মোক্সা তত্ত্বের প্রবক্তা বলে মনে করেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে নজরুল ইসলাম, কাউকেই ছাড়েননি তিনি। তাদের গানের ভাষার পরিবর্তন করে তাদের সৃষ্টিকে বিকৃত করেছেন। তবে এই সকল ঘটনায় একাধিকবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশের হাতের নাগালে আসেননি তিনি।

সম্প্রতি এই রোদ্দুর রায় দিনের পর দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নানান কুরুচিকর মন্তব্য করার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় অভিযোগ দায়ের হয় এবং গত মঙ্গলবার তাকে গোয়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখানে গ্রেপ্তার করার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। সারারাত লালবাজার থানার লকআপে থাকার পর তাকে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে।

সম্প্রতি গায়ক কেকের প্রয়াণের পর তাকে নিয়ে একটি ভিডিও করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তবে রোদ্দুর রায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার অনুগামীদের ঢল নামে। অনুগামীদের সেই সাড়াতে হাত নাড়াতে দেখা যায় তাকে। তবে প্রশ্ন হল এই রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে পুলিশ কি কি ধারায় মামলা রুজু করেছে।

আদালত সূত্রে খবর, প্রথমে রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে IPC 120b, 417, 153, 501, 504, 505 এবং 509 ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। পরে আরও 153a, 465, 467, 468, 469 ধারা সংযুক্ত করা হয়। অর্থাৎ রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে মানহানি, অশালীন এবং বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ঘৃণা প্রদর্শন সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।