গ্রাম্যবিবাদ, রাজনীতি, নাকি নকল সোনার কারবার! কেন বোমাবাজিতে লাভপুরে প্রাণ গেল দুই যুবককে!

গ্রাম্যবিবাদ, রাজনীতি, নাকি নকল সোনার কারবার! কেন বোমাবাজিতে লাভপুরে প্রাণ গেল দুই যুবককে! এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে। শুক্রবার রাতভর বোমাবাজি আর সেই বোমাবাজিতেই বীরভূমের লাভপুরের হাতিয়া গ্রামের দুই যুবকের প্রাণ যায়।

যে দুই যুবকের প্রাণ গিয়েছে তারা বেশ কয়েকজন যুবক মিলে মাঠের ধারে বসে ফ্রী ফায়ার গেম খেলছিল বলে জানা গিয়েছে। এমন সময় তাদের লক্ষ্য করে ঠিক মাঝেই বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।

আসলে এই পুরো ঘটনার পিছনে একদিকে যেমন রয়েছে নকল সোনার কয়েন কারবার, ঠিক সেই রকমই ছোটখাটো হলেও জড়িয়ে রয়েছে গ্রাম্য বিবাদ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিবাদ, গ্রাম দখলের লড়াই। এমনটাই গ্রামের একাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।

হাতিয়া গ্রামের নকল সোনার কয়েন কারবারিদের এক পক্ষ মুরহাদ শেখ এবং আরেক পক্ষ মনি শেখ। এই ঘটনায় মনি শেখের সমর্থকদের দুই যুবক বোমাবাজিতে প্রাণ হারায়। এলাকার একাধিক বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নকল সোনার কারবারের জন্য গ্রামের নাম বদনাম হচ্ছিল এবং পুলিশি চাপ আসতে শুরু করছিল। এমন পরিস্থিতিতে গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরা একত্রিত হয়ে অভিযুক্ত মুরহাদ শেখ এবং তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তাদের গ্রাম ছাড়া করেন। ৬ মাস গ্রাম ছাড়া থাকার পর আচমকা শুক্রবার রাতে তারা গ্রাম দখলের লড়াইয়ে নেমে পড়েন এবং বাইরে থেকে বহু দুষ্কৃতিকে হায়ার করে এনে মুড়ি-মুরকির মত কয়েকশো বোমাবাজি করা হয়।

যে দুই গোষ্ঠী এই ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে সেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গ্রামের বাসিন্দা এবং মনি শেখের লোকজন দাবি করেন, বাইরে থেকে লোকজন হায়ার করে এনে যারা বোমাবাজি করেছেন তারা একসময় সিপিআইএম করতেন। পরে তারা তৃণমূল করলেও বিভিন্ন কারণে তাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হয়।

তবে এরই সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনায় যখন হাতিয়া গ্রাম দুপক্ষের লড়াই এবং বোমাবাজিতে উত্তপ্ত তখন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশকে জানানো হলেও পুলিশ কিন্তু গ্রামে আসে নি। সবকিছু ঘটে যাওয়ার পর গ্রামে আসে তারা।