সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের, স্ত্রীর ভয়ঙ্কর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর ২১ মার্চ বোমার আঘাতে খুন হন বরশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। ঠিক তারপর দিন প্রতিহিংসার আগুনে গণহত্যার ঘটনা ঘটে যায় বগটুই গ্রামে। যেখানে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে ১০ জনকে। এই ঘটনায় যারা অভিযুক্তের তালিকায় ছিলেন তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত লালন শেখ।

বগটুই গণহত্যার ঘটনা ঘটে যাওয়ার প্রায় ৮ মাস পর গত ৩ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের নরোত্তম গ্রাম থেকে সিবিআই গ্রেপ্তার করে লালন শেখকে। পরদিন তাকে আদালতে পেশ করা হলে সিবিআই আধিকারিকরা ৬ দিনের হেফাজত নেন এবং ফের আদালতে তোলা হলে ৩ দিনের হেফাজত নেন সিবিআই আধিকারিকরা।

এরই মধ্যে সোমবার সন্ধ্যাবেলায় জানা যায় লালন শেখ সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মারা গিয়েছেন। কিভাবে তার মৃত্যু হল তা নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন। তবে সিবিআই এর তরফ থেকে পুলিশকে যা জানানো হয়েছে তা হলো, লালন শেখ এদিন বাথরুমে যান এবং সেখানেই গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করেন।

অন্যদিকে লালন শেখের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রেশমা বিবি জানিয়েছেন, “আজ সিবিআই আধিকারিকরা আমাদের বাড়ি এসেছিলেন। আমার বাড়ির সব শেষ করে দিয়েছে সিবিআই। ভাদুর ভাইরা আমাদের সব ফাঁসিয়ে দিল। ভাদুর ভাইরা আমাদের সব শেষ করে দিল। সিবিআই আমার স্বামীকে মেরে দিয়েছে।”

সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন লালন শেখের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের দিকে আঙুল উঠবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে সিবিআইয়ের দিকে আঙুল তোলার পাশাপাশি লালন শেখের স্ত্রী যেভাবে ভাদু শেখের ভাইদের দিকেও আঙ্গুল তুলেছেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ এই লালন সেখই ছিলেন ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী এবং ভাদু শেখ মৃত্যুর অন্যতম সাক্ষী, বগটুই গণহত্যার মূল অভিযুক্ত।