Saira Shah Halim: রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী! কেমন ছিল বাম প্রার্থী সায়রা হালিমের রাজনীতির আগের জীবন

How was the life of the leftist candidate Saira Shah Halim before join politics: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। সাধারণ জনগণ এইবারের নির্বাচনী লড়াইতে বেছে নেবে দুর্নীতিমুক্ত একটি স্বচ্ছ দলকে। যেই দল দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত এমনকি যাঁরা সব সময় ধর্মীয় রাজনীতির পথে চলছে তাদের কখনোই বেছে নিতে পারে না সাধারণ মানুষ। দক্ষিণ কলকাতার বামপার্থীর বার্তা হল খেটে খাওয়া মানুষ ভালো শিক্ষা, চাকরি এবং মহিলাদের সুরক্ষা চায়। তার চিন্তাধারাও যথেষ্ট স্পষ্ট। রাজনীতির জগতে প্রথম পদার্পন ঘটে স্বামীর হাত ধরেই। কর্পোরেট জগতের বিলাসবহুল জীবনকে ছেড়ে তিনি বেছে নিয়েছেন রাজনীতির এই টক্কর লড়াইয়ের জীবনকে। তিনি হলেন দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম (Saira Shah Halim)।

সায়রার বাবা জমিরউদ্দিন শাহ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে কর্মরত অবস্থায় ছিলেন। কর্মসূত্রের কারণে ছোট থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে হয়েছে তাকে। এমনকি পড়াশোনার জন্য আরবের বিভিন্ন দেশে তিনি ঘুরেছেন। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা রিয়াধ থেকে। পরবর্তী কালে রাজস্থানে ফিরে এসে সেখানে ইংরেজি সাহিত্য উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন সায়রা (Saira Shah Halim)।

তারপরে তিনি প্রবেশ করেন কর্পোরেট জগতে। কর্পোরেট জগতে চাকরি করার সময় তিনি বেশ মোটা বেতন পেতেন। দশটা পাঁচটা চাকরিতেই জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়ে দেন তিনি। স্বামী প্রসিদ্ধ চিকিৎসক ফুয়াদ হালিমকে দেখেই রাজনীতির ময়দানে নামেন সায়রা (Saira Shah Halim)। স্বামীর হয়ে প্রচারে তাকে আগেও সাধারণ মানুষ দেখেছে। ২০২২ সালে তিনি বাম নেতৃত্ব উপ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু প্রথমবার নির্বাচনী লড়াইতে তিনি জয়ী হতে পারেন নি। এবার লোকসভার মহারণের দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে।

আরও পড়ুন 👉 Lok Sabha Opinion Poll WB: ০ থেকে ৩! লোকসভায় জিততে পারেন বাংলার বামেদের এই ৩ প্রার্থী

রাজ্যের এই আকর্ষণীয় কেন্দ্রে কোন ইস্যুতে লড়াই হবে জানেন কি? এই কেন্দ্র থেকে কোন এক সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে লড়াই করতেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি (Saira Shah Halim) বলেন যে, আসন্ন নির্বাচনে মানুষ শিক্ষা দেবে দুর্নীতিযুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে। যারা হিন্দু-মুসলিম ধর্মীয় বিভেদ করে রাজনীতি করে তাঁদেরকে কোনওভাবেই সমর্থন করবে না সাধারণ জনগণ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯১ সাল থেকে এই আসনে টানা জিতে এসেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই কেন্দ্র থেকে লড়াই করতেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। মালা রায় অবশ্যই এই কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছেন ২০১৯ সালের নির্বাচনে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি দাঁড় করিয়েছে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের গতবারের বিজয়ী প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীকে। এই লড়াই এর বিরুদ্ধে আদৌ কি টিকতে পারবেন কর্পোরেট জগৎ থেকে রাজনীতির ময়দানে আসা মহিলা প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম? অবশ্য তাকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে বামেরা। কিন্তু জয়ের হাসি কে হাসবে তা নির্ভর করছে নির্বাচনে ফলাফলের ওপর। এই কেন্দ্র থেকে গতবার দুই লাখের বেশি ভোটে জিতেছিলেন মালা রায়। আসন্ন নির্বাচনের ফলাফল এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।