মিয়ায়াকি ফরেস্টের কথা জানেন? ভারতের বুকেই আছে সবচেয়ে বড় ফরেস্টটি, প্রকৃতির নিয়মে তৈরি হয়নি কিন্তু

প্রায়শই নানান বিনোদনমূলক ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাগ করে নেন মাহিন্দ্রা গ্রুপের মধ্যমণি আনন্দ মাহিন্দ্রা। পাশাপাশি বহু অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও সহ নানান অজানা তথ্যের হদিশ মেলে তার সমাজ মাধ্যমের পাতায় যা আট থেকে আসি সকলেই দেখতে পছন্দ করেন। বেশ কিছুদিন আগেই আনন্দ মাহিন্দ্রা তার সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়েছেন। যা দর্শকদের কাছে চাঁদ পাওয়ার মত, কারণ মিলেছে দেশের এক অজানা জায়গার সন্ধান। তার পোস্ট করা ভিডিওটিতে ভারতের মিয়ায়াকি জঙ্গলের দেখা মিলেছে। যা গুজরাটের কচ্ছের রণ নামক লবণাক্ত ভূমির বুকে দাঁড়িয়ে আছে।

তবে অন্যান্য জঙ্গলের ইতিহাসের সাথে এই জঙ্গলের ইতিহাস কিন্তু মিলছে না। কারণ এই জঙ্গল অন্যান্য জঙ্গলের মত স্বাভাবিক নিয়মে তৈরি হয়নি। যার থেকে খুবই স্পষ্ট এই জঙ্গল প্রকৃতি সৃষ্ট নয়। ঠিক ম্যানমেড ডিজাস্টার এর মতই এই সুবিশাল জঙ্গলের পরিচয় আসলে ‘ম্যানমেড’ বা মনুষ্য সৃষ্ট। সমাজ মাধ্যমের পাতায় ভাগ করে এই ভিডিওতে আনন্দ মাহিন্দ্রা উল্লেখ করেছেন, কচ্ছের এই এলাকা দীর্ঘ বছর যাবত পরিত্যক্ত ভূমিতে পড়ে ছিল। তবে বর্তমানে সেখানে গেলে দেখা মিলবে সবুজের সমারোহ। গত কয়েক বছরের মধ্যেই ওই জায়গার রূপ বদলে ঝকঝকে হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: AI ফিচার সহযোগে বাজার দখল করতে আসছে রে ব্যানের স্মার্টগ্লাস! ছবি তোলা সহ মিলবে আরও আকর্ষণীয় ফিচারস

জাপানি উদ্ভিদবিদ ডক্টর আকিরা মিয়ায়াকির তরফে সর্বপ্রথম মিয়ায়াকি জঙ্গলের ধারণাটি স্পষ্ট হয়। বিরাট অঞ্চলের মাঝে চারা পোঁতা থেকে গাছের পরিচর্যার মাধ্যমে এই সুবিশাল জঙ্গল সৃষ্টি হয় আকিরার হাত ধরে। সাধারণত এমন জঙ্গলের দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার বটে। ওই জায়গায় যে গাছপালা লাগানো হয়েছিল তা আসলে মিয়ায়াকি মেথড মেনে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডক্টর রাধাকৃষ্ণন নায়ারের প্রচেষ্টার ফল হল এই অরণ্য। ওই জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে এত ঘন জঙ্গল উপহার পেয়েছে কচ্ছ। কেবল ২-৩ বছর সময় লেগেছে গোটা এলাকাকে নতুন রূপ দিতে।

https://x.com/anandmahindra/status/1909807847182868821?t=tawFn5_UAQDHNcj868I5Ig&s=19

তবে মনুষ্য সৃষ্ট উপায়ে গড়ে ওঠা এই মিয়ায়াকি কিন্তু বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম মিয়ায়াকি জঙ্গলের তকমা অর্জন করেছে। যা থেকে খুব ভালো করে বোঝা যাচ্ছে যে পৃথিবীর বুকে যে কটি মিয়ায়াকি পদ্ধতিতে জঙ্গল গড়ে উঠেছে তার মধ্যে কচ্ছ এলাকার এই অরণ্য সবচেয়ে বড়। তাই আনন্দ মাহিন্দ্রা লিখে জানান, তিনি এই জঙ্গল সম্পর্কে জানতেন না, কিন্তু এর রূপকার ডক্টর নায়ার যে এমন একটা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন, তা তিনি জানতেন না।