Train Mileage: প্রতিবেদনের শুরুতে আমাদের জেনে নিতে হবে মাইলেজ কাকে বলে? ১ লিটার জ্বালানিতে গাড়ি যত দূর যেতে পারে সেই হিসাব হলো মাইলেজ। গাড়ি কেনার সময় আমরা সর্বদাই খেয়াল রাখি সেটি মাইলেজ কত দেবে। যখনই টু-হুইলার বা গাড়ি কেনা হয়, তখনই আমরা জিজ্ঞেস করি ‘কত কিলোমিটার মাইলেজ দেবে?’ সেই বুঝেই গাড়ি কিংবা টু হুইলার কেনা হয়।
তবে আমরা প্রতিনিয়ত যে গণপরিবহনগুলোতে যাতায়াত করি তার মাইলেজ জানার কখনোই চেষ্টা করি না। যেমন বাস, ট্রেন এবং বিমানের মতো গণপরিবহণের মাইলেজ কত সেগুলি অনেকেই জানেন না। কেউ এইসব বিষয় নিয়ে ভাবেও না। যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয় একটি ট্রেনের মাইলেজ কত (Train Mileage) তাহলে কি বলতে পারবেন?
মাইলেজ একটি গাড়ির জ্বালানী দক্ষতা বোঝায়। যেমন অন্যান্য যানবাহনের মাইলেজ রয়েছে তেমন একটা ট্রেনেরও মাইলেজ (Train Mileage) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাইলেজের ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। একটি ট্রেন প্রতি লিটার জ্বালানিতে ঠিক কতটা মাইলেজ দেবে এটির হিসাব করা সত্যিই কঠিন। যেমন প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ধরণ – এক্সপ্রেস, উচ্চ-গতি, যাত্রী এবং এটি বহনকারী কোচের সংখ্যার উপর নির্ভর করে।
একটি ট্রেনের মাইলেজকে (Train Mileage) সব থেকে বেশি প্রভাবিত করে ট্রেনের কোচ। কতগুলো কোচ ট্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত তার উপরে নির্ভর করছে মাইলেজ। কোচের সংখ্যা কম হলে, মেশিন কম লোড টানতে পারে। একটি ডিজেল ইঞ্জিনের মাইলেজ প্রতি ঘন্টার ভিত্তিতে গণনা করা হয়।
আরো পড়ুন: বাইকের মাইলেজ বাড়াতে এবং তেল খরচ কমাতে গেলে গিয়ার বদলাতে হবে এই নিয়ম অনুযায়ী
একটি ট্রেনের ইঞ্জিন প্রতি ১ কিলোমিটারে ২৪-২৫টি কোচ টানতে পারে। ১ কিলোমিটারের জন্য একটি ট্রেনে ৬ লিটার ডিজেল লাগে। আরেকটি মজার বিষয় হল, সুপারফাস্ট ট্রেনে যাত্রীবাহী ট্রেনের তুলনায় কম ডিজেল লাগে।যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন প্রতি ১ কিলোমিটারে ৫-৬ লিটার ডিজেল খরচ করে। এর আসল কারণ হলো যাত্রীবাহী ট্রেন প্রত্যেকটি স্টেশনে দাঁড়ায় কিন্তু সুপারফাস্ট ট্রেন দাঁড়ায় না। একটি এক্সপ্রেস ট্রেন ১২টি বগি টেনে নিয়ে যায় ১ কিমি। এই দূরত্ব যেতে ৪.৫ লিটার ডিজেল খরচ করে।
হিসাব অনুসারে, সুপার ফাস্ট ট্রেনগুলি এক লিটার ডিজেলে যেতে পারে 230 মিটার পর্যন্ত। আবার, যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি যেতে পারে ১৮০-২০০ মিটার। তাই আশা করি আজকের প্রতিবেদনটি যদি কেউ মনোযোগ সহকারে পড়ে তাহলে সে জানতে পারবে যাত্রীবাহী এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের মাইলেজ (Train Mileage) কত?