শুধু শ্রীলঙ্কা নয়, এই ৭ দেশকেও সাসপেন্ড করেছিল ICC, ৬ নম্বরের নামটি অবিশ্বাস্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (Sri Lanka Cricket Board) উপর তাদের দেশের সরকারের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ (Cricket World Cup 2023) চলাকালীনই আইসিসি (ICC) সাসপেন্ড করেছে তাদের দলকে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। আর এই প্রসঙ্গেই উঠে আসছে পূর্বের বেশ কিছু ঘটনা। সেই সকল ঘটনা থেকেই জানা যাচ্ছে, কেবল শ্রীলঙ্কা নয়, শ্রীলঙ্কা ছাড়াও আরও ৭টি দেশ বিভিন্ন কারণে আইসিসির কোপে পড়েছিল।

১) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক সময় আলাদাভাবে ঝড় তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। এই দলের ফ্লাওয়ার ব্রাদারদের খেলা আজও মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের উপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচন সম্পর্কিত স্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা না থাকার কারণে আইসিসি জিম্বাবুয়েকে সাসপেন্ড করেছিল।

২) সাসপেন্ড হওয়া আরেকটি ক্রিকেট দল হল ব্রুনেই। এই দল সম্পর্কে এখন অনেকের কাছেই ধারণা নেই। তবে ২৩ বছর ধরে ব্রুনেই আইসিসির পৃষ্ঠপোষক সদস্য ছিল। কিন্তু তারাই আইসিসির সাতটি নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ২০১৩ সালে প্রথম তাদের সতর্ক করা হয় এবং সেই সতর্কবার্তায় কাজ না হওয়ায় ২০১৫ সালে তাদের সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া হয়।

৩) কিউবার কিউবিয়ান ক্রিকেট কমিশন ২০০২ সালে আইসিসির অনুমোদন পেয়ে আইসিসিতে যোগ দেয়। তবে ২০১৩ সালেই তারা আইসিসির নির্দেশ না মানার কারণে তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এখনো পর্যন্ত তাদের সেই সাসপেনশন ওঠেনি।

৪) ১৯৯৯ সালে আইসিসির সদস্য পদ পেয়েছিল মরক্কোর রয়্যাল মরক্কো ক্রিকেট ফেডারেশন। পরবর্তীতে ২০০২ সালে তারা বেশ আলোচনায় এসেছিল শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে মরক্কো কাপের আয়োজন করে। তবে ২০১৪ সালে তাদের বিরুদ্ধে চারটি নিয়ম না মানার অভিযোগ ওঠে এবং ২০১৯ সালে তাদের সদস্যপদ কেড়ে নেয় আইসিসি।

৫) আইসিসি থেকে রাশিয়ার সদস্য পদ বাতিল হয় ২০২২ সালের ২৬ জুলাই। এর এক বছর আগে রাশিয়াকে আইসিসি নোটিশ দিয়ে সতর্ক করে। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যেও তারা সেই সকল শর্ত পূরণ করতে না পারাই তাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়।

৬) ২২ বছর ধরে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই দীর্ঘ সময় নির্বাসিত থাকার কারণ হলো বর্ণবিদ্বেষ। সেই সময় এই দেশে বর্ণবিদ্বেষ এমন রূপ ধারণ করেছিল যে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ক্রিকেট দলের পাশাপাশি তৈরি হয়েছিল আরও একটি ক্রিকেট দল আর তা হলো দক্ষিণ আফ্রিকা কৃষ্ণাঙ্গ জাতীয় দল। দীর্ঘদিন ধরেই বর্ণবিদ্বেষের কারণে কালো গায়ের রঙের মানুষদের বঞ্চিত করা হতো খেলা থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায়। তবে সেই সময় কালো গায়ের রঙের মানুষেরা প্রতিবাদে সোচ্চার হলে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দল যে সকল ফন্দি এঁটে ছিল সব ব্যর্থ হয়ে যায় এবং তাদের নির্বাসিত করা হয়। ২২ বছর পর ১৯৯২ সালে আইসিসির শর্ত পূরণ করার কারণে তারা পুনরায় খেলার সুযোগ পায়।

৭) ২০১৪ সালে জাম্বিয়া আইসিসির থেকে প্রথম সতর্কবার্তা পায়। জাম্বিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক বিধি আইসিসির আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। টাকা পয়সার হিসেব মিলাতে না পারার কারণেই শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে এই দলটি আইসিসির সদস্যপদ হারায়।