কার্ড না থাকলেও মিলবে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা, রইলো পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে তৃণমূল সরকারে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেন। আর সেই সকল প্রকল্পের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প একটি অন্যতম প্রকল্প। যে প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় থাকা উপভোক্তারা চিকিৎসার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। কিন্তু এই প্রকল্প একসময় ছিল নির্দিষ্ট কিছু মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গত বছরের শেষের দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন সবার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের দরজা খুলে দেওয়া হলো। অর্থাৎ রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক এই প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন এবং সুবিধা পাবেন। আর এই প্রক্রিয়াকে বাস্তবায়িত করার জন্য শুরু হয় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। যেখানে ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ রাজ্যের নাগরিক স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছেন।

কিন্তু আবেদন করা হলেও এখনও অধিকাংশ মানুষের কাছে এই প্রকল্পের কার্ড পৌঁছায়নি। যে কারণে কার্ড না পৌঁছানো অবস্থায় বহু নাগরিককে প্রকল্পের সুবিধা ওঠাতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিল। আর এই জায়গায় এবার বড় ঘোষণা করে সমাধানের পথ দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৬৬ লাখ নাগরিক এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন। যে কারণে এত সংখ্যক কার্ড ছাপানো বেশ সময় সাপেক্ষ। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে এক একটি কার্ড ছাপাতে কম করে দশ মিনিট সময় লাগে। তবে তা সত্ত্বেও ইতিমধ্যেই ১৪ লক্ষ স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। আর বাকিদের কাছে কার্ড পৌঁছাতে কিছুটা হলেও সময় লাগবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। যে কারণে তাদের সিদ্ধান্ত কার্ড না থাকলেও মিলবে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা।

কিভাবে মিলবে এই সুবিধা?

কার্ড না থাকলেও স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাওয়ার জন্য অবশ্যই এই প্রকল্পের আবেদন করা থাকতে হবে। আর সেই আবেদনের ভিত্তিতে নাম নথিভুক্ত হয়ে যাওয়ার পর যদি কোনো আবেদনকারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তাহলে সেই রোগীর নাম নথিভুক্ত থাকা অর্থাৎ URN নম্বর দিয়ে ওয়েবসাইটে ফর্ম পূরণ করলেই মিলবে বীমার জরুরী টাকা।

এর পাশাপাশি যদি জরুরী ভিত্তিতে ওই URN নম্বর দিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর এর সাথে আবেদনকারীরা যোগাযোগ করে থাকেন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব কার্ড তৈরি করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।