ভারত পাকিস্তান সংঘাত সবসময়ই থাকে শিরোনামে। আর এবার পাকিস্তানের আরও দুঃসময় ঘনিয়ে এসেছে। সম্প্রতি, পাকিস্তান সরকারকে বালোচিস্তানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একের পর এক হামলায় জেরবার হতে হচ্ছে। আবারও একবার বালোচ বিদ্রোহকে কেন্দ্র করে ভারতের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছে পাকিস্তান। এই বিষয় সম্পর্কে গত ২০শে মার্চ পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক এর তরফে জানানো হয়েছে, ‘ভারত সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ জোগাচ্ছে।’ পাকিস্তানের তরফে বলা হয়েছে, বালোচিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্রোহীদের সংঘঠিত এই হামলার পিছনে মদত রয়েছে ভারতের। বালোচিস্তানের শান্তি শৃঙ্খলা ধ্বংস করার ক্ষেত্রে ভারতের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পূর্বে ১৯৭১ সালে নিজেদেরই দেশের নানান অংশে অত্যাচার চালিয়ে দেশ ভাঙার পথ প্রস্তুত করে দিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তাতে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। এই আবহে বালোচিস্তানের গোটা অঞ্চল পাকিস্তানের হাত থেকে ফসকে যাবে কি না তা নিয়ে বিরাট শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একইসময়ে কথায় কথায় আবার ভারতের নাম জপতে দেখা যাচ্ছে ইসলামাবাদকে।
অপরদিকে, পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এর তরফে জানানো হয়েছে, ‘ভারত কোনোসময় জাফর এক্সপ্রেসে হামলার বিষয়ে নিন্দা করেনি।’ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এর কথায়, ‘ সারা বিশ্বের মানুষ অবগত বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল সম্পর্কে। পাকিস্তানের এই সময় করণীয় নিজেদের নানান সমস্যা ও ব্যর্থতার জন্য অন্যের দিকে অভিযোগ না করে দোষারোপ না করে অন্তর্মুখী না তাকানো।’
প্রসঙ্গত, গত ১১ই মার্চ বালোচ বিদ্রোহীরা বোলান গিরিপথের কাছে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে হামলা চালায়। ট্রেনটি ছিনতাই শুরু করে তারা। জাফর এক্সপ্রেসে কমপক্ষে ৪৫০ জন যাত্রী সফর করছিলেন সেদিন। বন্দি যাত্রীদের সেনাবাহিনীর দল উদ্ধার করতে গেলে বালোচ বিদ্রোহীদের সঙ্গে শুরু হয় লড়াই। সেই লড়াই শেষে অন্তত দুডজন পাকিস্তানি সেনা হয়েছিল সেদিন। অপরদিকে ৩৩ জন বিএলএ যোদ্ধাও প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানানো হয়।
অন্যদিকে বিএলএ সূত্রে খবর, পাকিস্তান সরকার নাকি গোটাটাই সাজিয়ে বলছে। হাইজ্যাকে বন্দি থাকা ২১৪ জন বন্দিকে তারা প্রাণে মেরেছে বলে দাবি জানানো হয় তাদের পক্ষ থেকে। যদিও পূর্বে কোয়েটা স্টেশন থেকে কয়েকশো কফিন নিয়ে যাওয়ার ভিডিও prokase এসেছিল। বিএলএ পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই এনকাউন্টারে যাদের প্রাণ গিয়েছে তারা সকলে শহিদ। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন সূত্রে খবর, স্বাধীনতা সংগ্রামে ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করে জীবন বলি দিয়েছেন তারা। ১২ মার্চ রাতে তিন যোদ্ধা প্রাণ হারান। ১৩ মার্চ রাতে চার যোদ্ধা মারা যান। তা বাদেও মাজিদ ব্রিগেটের পাঁচজন ফিদায়েঁ প্রাণ হারিয়েছেন।