রবিবারের মেনু থেকে উধাও মাছ-মাংস, কীভাবে কাটছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থর

নিজস্ব প্রতিবেদন : এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে। তার গ্রেপ্তার হওয়ার পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। নগদ কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের গল্প তো ছেড়েই দিলাম, পাশাপাশি জানা যায়, প্রাক্তন এই মন্ত্রী নাকি মাসে ২.৫ লক্ষ টাকার ফল খেতেন!

কর্পোরেট সংস্থার বস এবং মন্ত্রী থাকার দৌলতে স্বাভাবিকভাবেই রাজকীয় ভাবে কেটেছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির। রবিবারের খাবারের মেনুতেও বাহারি খাবারের আয়োজন থাকতো তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, একসময় এই মন্ত্রীর রবিবাসরীয় ব্রেকফাস্টে থাকতো পরোটা, তরকারি৷ কখনও সখনও লুচি, সাদা আলুর তরকারি। তবে ভাজাটা মাস্ট।

রবিবাসরীয় ব্রেকফাস্টের পাশাপাশি রবিবাসরীয় খাবারের মেনুতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাতে যে সকল খাবার থাকতো বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত তা হল ভাত, ডাল, একাধিক ভাজা, তরকারি ও নেতাজিনগরের এক হোটেলের মাছের মুড়ো৷ মাছের সেই মুড়ো ভাজা ও ঝোলে দেওয়া ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্পেশাল মেনু। এছাড়াও রবিবার মাঝে মাঝেই মটন ছিল বাঁধা ধরা।

তবে রাজনীতিতে পা রাখার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খাবারের ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন আসে। জানা যাচ্ছে, অনেক সময় রবিবার তিনি ভাত খেতেন না। রবিবার লাঞ্চে দুপুর তিনটের সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাতে থাকতো রুটি, মাছের মুড়ো বা মটন। বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার পরিপ্রেক্ষিতে তার এই রুটিনে পরিবর্তন আসে। ব্রেকফাস্ট পরোটা-তরকারি-চা খেয়ে বেরিয়ে পড়তেন বেহালার উদ্দেশ্যে।

বেহালার পার্টি অফিসে খাওয়া দাওয়া করার পাশাপাশি সন্ধ্যা হলেই তার লাগতো তেলেভাজা, সিঙ্গারা। মাঝে মাঝে থাকত জিলিপি। তবে বর্তমানে এই প্রাক্তন মন্ত্রী হলেন কয়েদী নম্বর ৯৪৩৭৯৯। তাকে এখন সবকিছু ছেড়ে খেতে হচ্ছে জেলের খাবার।