Local Train: দুর্গাপুর-হাওড়া লোকাল ট্রেন কী মিলবে এবার? দাবি উঠেছে যাত্রীদের তরফে

পশ্চিমবঙ্গের বুকে অবস্থিত দুর্গাপুর স্টিল সিটি বা স্টিল শহর নামে পরিচিত। কলকাতা শহরের মতো এই শহরেরও সমান গুরুত্ব রয়েছে রাজ্যে। রাজ্যের অন্যান্য শহরের মতো এই শহরেও বহু মানুষ এখানকার সরকারি ও বেসরকারি অফিসে নিত্য যাতায়াত করেন। একাধিক যাত্রীর দুর্গাপুর স্টেশন হয়ে কলকাতা সহ রা‌জ্যের নানান জায়গায় পা পড়ে। তবে দুঃখের কথা এটাই যে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর হওয়া সত্ত্বেও দুর্গাপুর থেকে হাওড়া যাতায়াতের সরসরি কোনও ট্রেন আজও পাওয়া যায় না। যাত্রীদের লোকাল ট্রেনে করে বর্ধমানে নেমে আবার সেখান থেকে হাওড়ার ট্রেন ধরতে হয়। তাই এবার দাবি আদায়ের পথে নেমেছেন যাত্রীরা।

আসানসোল ডিভিশনের মানকর, গলসি, পারাজ সহ বহু স্টেশনের নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীরা দুর্গাপুর থেকে সরাসরি হাওড়া যাতায়াতের জন্য লোকাল ট্রেন চালুর দাবি করেছেন। যাত্রীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, লোকাল ট্রেনে হাওড়া পর্যন্ত যাতায়াতের ক্ষেত্রে আসানসোল-বর্ধমান লোকালে ধরে বর্ধমান স্টেশনে নামতে হয়। এরপর যাত্রীদের ফের হাওড়াগামী ট্রেন ধরতে হয়। হাওড়া পর্যন্ত সরাসরি লোকাল ট্রেনের সুবিধা মিললে বর্ধমান স্টেশনে নামার প্রয়োজন পড়বে না। একটা ট্রেনেই নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছনো যাবে। এক্ষেত্রে অন্য একটি প্রসঙ্গ উঠে আসে, ২০০৭ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব দুর্গাপুরে রেলের একটি উড়ালপুলের শিলান্যাস করতে হাজির হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: নিজের সন্তানের জীবনই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিলেন বাবা

ওই সময়েই যাত্রীরা তাকে সামনে পেয়ে দুর্গাপুর থেকে হাওড়া পর্যন্ত সরাসরি যাতায়াতের জন্য লোকাল ট্রেন চালুর দাবি করেছিলেন। রেলমন্ত্রীর তরফেও যাত্রীদের আশ্বাসবাণী দেওয়া হয়েছিল। তবে দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় অতিক্রম হয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবতার ছোঁয়া পায়নি। রোজ কাজের জন্য মানকর থেকে দুর্গাপুর যাতায়াত করেন নূপুর মেটে। তার কথায়, লক্ষ লক্ষ যাত্রী দুর্গাপুর স্টেশন হয়ে নিত্য যাতায়াত করেন। দুই বর্ধমানের ও বাঁকুড়ার হাজার হাজার যাত্রী দুর্গাপুর স্টেশনে এসে ট্রেন ধরেন। তাদের অনেকের গন্তব্য হাওড়া। তবে হাওড়া পর্যন্ত যাতায়াতের সরাসরি লোকাল ট্রেনের সুবিধা না থাকায় যাত্রীদের রোজ নাজেহাল হতে হচ্ছে।

যেসকল যাত্রী রোজ এই পথে যাতায়াত করেন তাদের তরফে জানানো হয়েছে, মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্গাপুর থেকে সরাসরি হাওড়া পর্যন্ত চলাচল করে। তবে সরাসরি লোকাল ট্রেনের সুবিধা মিললে ভাড়া বেশ খানিকটা কমবে। অন্যদিকে, এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি দুর্গাপুর থেকে বর্ধমানের মাঝে সব স্টেশনে থামে না। যার ফলে লোকাল ট্রেনের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় নিত্য যাত্রীদের। সরাসরি লোকাল ট্রেন চলাচল করলে সকলে সুবিধা পাবেন । পারাজ স্টেশনের যাত্রী অনামিকা সূত্রধর এর বক্তব্য, বহু মানুষ ভাল চিকিৎসা করাতে কলকাতা রওনা দেন। কিন্তু সরাসরি লোকাল ট্রেন না থাকায় সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। শীঘ্রই একটি ট্রেন চালু করা হলে একাধিক মানুষের উপকার হবে। রেলের এক আধিকারিক এর তরফে জানা গিয়েছে, কোন শাখায় কী ট্রেন চলাচল করবে তা সমীক্ষার মাধ্যমে রেল বোর্ড বিবেচনা করে।