ছোট থেকে বড় হওয়ার সময়কালে দ্রুতই যেকোনো ব্যক্তির মধ্যে স্বপ্নের পরিবর্তন আসতে দেখা যায়। এমন ব্যক্তি সমাজে নেই যার মনে কোনো স্বপ্ন বাসা বাঁধেনি। প্রত্যেকের জীবনেই কিছু না কিছুর চাহিদা উপস্থিত রয়েছে। প্রত্যেকেই চায় নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুযোগ্য ভাবে হতে। নিজের মনের স্বপ্ন পূরণ করতে। সম্পত্তি, টাকা পয়সা, গাড়ি বাড়ি থাকলেই যে সেই ব্যক্তি সফল তা কিন্তু একবারে ভুল কথা। সমাজে এমন অনেক কম মানুষই আছেন যারা প্রকৃত সফলতার স্বাদ পেয়েছে।
কোনো ব্যক্তি যদি তার জীবনে সফলতার স্বাদ পেতে চায় তবে তাকে নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসা নিষ্ঠা, সময়জ্ঞান সম্পর্কিত নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতে হয়। আর এই সময় ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যক্তিকে নিয়মিত রুটিনকে মান্যতা দিতে হয়।
আরও পড়ুন: Road Accident: দ্রুতগতির মোটরবাইকের ধাক্কা সাইকেল আরোহীকে! মৃত ১
বর্তমান সময়ে, বিশেষত নতুন প্রজন্ম সকালে ওঠার অভ্যাস ভুলতে বসেছে। বেশি রাত অবধি ফোনে সময় কাটিয়ে ঘুমানো তারপর বেলায় দেরি করে ওঠা যেন রোজকার নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফল স্বরূপ রুটিন কাজ ছাড়া অন্যকিছু করার সময় হাতে থাকে না তাদের। এছাড়া মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতিও ঘটে।
এই বিষয়ে সম্পর্কে আধ্যাত্মিক গুরু সদগুরু প্রত্যেক ব্যক্তিকে ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা ব্যক্ত করেছেন। একটি ভিডিও থেকে তার বলা এক কথা প্রকাশে এসেছে, তিনি বলছেন ভোরে ঘুম থেকে ওঠা ব্যক্তিদের গুণাবলী অন্য ব্যক্তিদের থেকে অনেক আলাদা। তার মতে, যারা ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠেন তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হয় অন্যদের থেকে। তারা তাদের প্রয়োজনীয় সময়কে ভালোভাবে ব্যবহারের সুযোগ পান। এছাড়াও ভোরে উঠলে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
তাই সমাজে প্রত্যেক মানুষের উচিত রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া এবং নিয়মিত ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়া। সাধারণত ব্রহ্ম মুহূর্ত বলতে বোঝায় ভোর ৩:৩০ থেকে ৪:৩০ বা ৫ টার মধ্যেকার সময়কালকে।