নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একদিকে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, আর এই আবহেই নিয়োগ সংক্রান্ত এক নয়া খবর সামনে এলো।প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হবে দীর্ঘ প্রায় দুই শতক পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। শুক্রবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্পষ্ট করা হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ বা ডিপিএসসির তরফ থেকে।
প্রধান শিক্ষক পদে আবেদনের জন্য আবেদনকারীর নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকা আবশ্যক বলে জানানো হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ বা ডিপিএসসির প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০০১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর বা তার আগে নিযুক্ত শিক্ষকের মাধ্যমিক পাশ হওয়া জরুরী। একইসাথে ১ বছর বা ২ বছরের শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ থাকতে হবে আবেদনকারীর।
আরও পড়ুন: Vande Bharat Express: সেমি হাই স্পিড বন্দে ভারতের শেষ বগিতে ‘X’ চিহ্নটি কেন থাকে না জানেন?
২০০১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বরের পর থেকে ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিযুক্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও যোগ্যতার মাপকাঠি একই রাখা হয়েছে।২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে আজ পর্যন্ত নিযুক্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে যোগ্যতার মাপকাঠি রাখা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর বা স্নাতক এবং দু’বছরের ডি.এল.এড বা পিটিটিআই প্রশিক্ষণ। অপরদিকে শিক্ষক-শিক্ষিকার স্পেশাল ডি.এড, স্পেশাল বি.এড বা সাধারণ বি.এড করা থাকলে ৬ মাসের ব্রিজ কোর্স সম্পূর্ণ থাকা জরুরী।
আবেদনের সময়সীমা হল আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল। এই সময়ের মধ্যে যোগ্য এবং ইচ্ছুক শিক্ষক-শিক্ষিকারা আবেদন জমা দিতে পারবেন।অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বা এসআই এর কার্যালয়ে সংসদের প্রদান করা নির্দিষ্ট বয়ান বা ফর্মাটে আবেদন জানাতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সংসদ এর তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে যে অন্য কোনও জায়গায় আবেদন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর ডিপিএসসির চেয়ারম্যান অনিমেষ দের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি বা অভিজ্ঞতাকেই সবথেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।এই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও ইন্টারভিউ সেশন রাখা হচ্ছে না। সেলফ অ্যাসেসমেন্ট বা যাকে বলা হয় স্ব-মূল্যায়ন, তাতে মোট ৩০ নম্বর থাকবে। এই নিয়োগ হবে সার্কেল বা চক্র পদ্ধতিতে। তাই শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের সার্কেলেই প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকা হতে পারবেন।সংসদ এর তরফে জানা গিয়েছে জেলায় মোট শূন্যপদ এর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার।
এই সময় অনলাইন নামক সংবাদ মাধ্যমে অনিমেষ দে জানিয়েছেন, ‘স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আমাদের লক্ষ্য।’ শাসকদলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি অখিলবন্ধু মহাপাত্র এর তরফে জানা গিয়েছে, ‘২০০৮ সালের পর এই প্রথম জেলায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে। তাই খুশির মরসুম শিক্ষক মহল জুড়ে। এই নিয়োগের ফলে স্কুলগুলি আরও ভালোভাবে পরিচালিত হবে বলেই আশা রাখছি।’