থমকে যাবে শীত, আগামী সপ্তাহে টানা ৪ দিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর শীতকালে আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনা লক্ষ্য করা গিয়েছে একাধিকবার। জাঁকিয়ে শীত সেইভাবে চোখে আসে নি। দিন চারেক ঠান্ডা মেজাজ থাকার পর ফের তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে। তাপমাত্রার এই খামখেয়ালিপনার পিছনে রয়েছে একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যদিও দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে শীত বেশ জাঁকিয়ে অনুভব করা গিয়েছে অধিকাংশ সময়।

নতুন বছরের শুরুতে যখন ফের একবার তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী হয় সেই সময় নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হাজির হওয়াই ফের বৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু বৃষ্টি নয়, এবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির দেখা মিলবে তাও আবার টানা ৪ দিন, এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। অকাল এই বর্ষণে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি এই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির প্রভাব পড়বে উত্তরবঙ্গেও।

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পূর্ব ভারতে। যে কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকেই তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বগামী। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর থেকে বিপুল পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস এই পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১১ জানুয়ারি হালকা বৃষ্টি লক্ষ্য করা যাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। পরদিন থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। তারপর এই বৃষ্টি চলবে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী জানুয়ারি মাসের ১২ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়।

বৃষ্টির বিষয়ে গত শুক্রবার হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি জানানো হয়েছে, মাঠে থাকা শেষ পর্যায়ের ফসল আগামী ১১ জানুয়ারির মধ্যে তুলে নিতে হবে। পাহাড়ের দৃশ্যমান্যতা হ্রাস পেতে পারে যে কারণে ওই সময় পর্যটকদের পাহাড়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও জমিতে কীটনাশক অথবা সার এখনই প্রয়োগ করতে নিষেধ করা হয়েছে।