RBI Prohibition: মাথায় হাত Visa ও Mastercard-এর! ছড়ি ঘোরানোর কাজ শুরু করল RBI

RBI Prohibition may come on Visa and Mastercard: বর্তমানে আর্থিক লেনদেন এর জন্য অনলাইন পরিষেবাতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করছেন সাধারণ মানুষ। তবে মানুষের মধ্যে অনলাইন লেনদেনের প্রবনতা যত বাড়ছে প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে অনলাইন জালিয়াতির প্রভাবও তততাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে দেশের মুখ্য ব্যাঙ্ক, রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বর্তমানে অনলাইন জালিয়াতি ঠেকাতে নানা ধরনের ব্যবস্থা করছে। সম্প্রতি Paytm এর ব্যাঙ্কিং পরিষেবার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দেশের অর্থনৈতিক মহলে বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI Prohibition) এর নজরে এসেছে দুই বৃহৎ বহুজাতিক কার্ড সংস্থা Visa ও Mastercard।

দেশীয় সংস্থা পেটিএম এর পর আমেরিকার দুই আন্তর্জাতিক পেমেন্ট মার্চেন্ট ভিসা ও মাস্টারকার্ডের উপর নজরদারি চালাতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাংক (RBI Prohibition)। রিজার্ভ ব্যাংক এর তরফ থেকে নতুন নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে তাদের শীঘ্রই সমস্ত রকম ব্যবসায়িক অর্থ প্রদান বন্ধ করতে হবে।

বর্তমানে ক্যাসলেস পরিষেবার অঙ্গ হিসাবে কার্ড পেমেন্ট অপশন গুলির মূল্যের দিক থেকে ভিসা এবং মাস্টারকার্ড যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা গ্রহণ করেছে। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া কয়েকটি বড় কার্ড সংস্থা, যেমন ভিসা এবং মাস্টারকার্ড এর কার্ডের দ্বারা তৃতীয় পক্ষের কোনো অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করা এবং ভাড়া প্রদানের মতো B2B লেনদেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুন 👉 Gpay Upgrade: টাকা লেনদেনের নিয়মে বড় বদল, আর ‘এই’ দেশে কাজ করবে না Gpay

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক লেনদেনের উপরেই সরাসরি প্রভাব পড়বে। যে বাণিজ্যিক লেনদেন গুলি থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে করা হয় সেগুলি যথেষ্ট পরিমানে প্রভাবিত হবে। যদিও একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে যে, এই ধরনের আর্থিক লেনদেনের সংখ্যা সাধারণ খুব সীমিত। তাই এর প্রভাব খুবই সীমিত হবে। অন্যান্য কোনো করপোরেট লেনদেনের উপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না।

যদিও রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI Prohibition) তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত এই পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে বলা হয়েছে যেসব ব্যবসায়ীর কেওয়াইসি করা হয়নি তাদের কার্ড ব্যবহার করে অর্থ প্রদান করা হচ্ছে, এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল আরবিআই। এ ছাড়া রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বেশ কিছু বড় লেনদেনে জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের বিষয়ে সন্দেহ করেছিল।