নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙালির প্রাণের পুজো দুর্গোৎসব, এই দুর্গা পুজোর আগে জামা কাপড়ের ক্ষেত্রে শপিং মল বা দোকানে দোকানে নানান ধামাকা অফার দেখা যায়। তবে এবার পুজোর আগে সব কিছুকে ছাড়িয়ে বীরভূমের সদর শহর সিউড়িতে ধামাকা অফার নিয়ে এলো ফ্ল্যাবিও। সিউড়ি কয়েকজন এমসিএ পাস করা তরুণ যুবকের উদ্যোগে চালু হল এই ফুড হোম ডেলিভারি অ্যাপ। প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে এই অ্যাপ।
সিউড়ির বেশ কয়েকটি নামি দামি রেস্টুরেন্ট, রেস্তোরাঁ তো রয়েছেই, পাশাপাশি রয়েছে কম বাজেটের রেস্টুরেন্টও। রয়েছে সিউড়ি বেশ কয়েকটি পুরাতন এবং নামকরা মিষ্টির দোকান। অ্যাপ ডাউনলোড করলেই দেখতে পাবেন সেই সকল দোকানের খাবারের মেনু এবং খাবারের দাম। তারপর নিজের পছন্দমত মোবাইল থেকেই অর্ডার করুন পছন্দের খাবার।
আর অর্ডার করা মাত্রই মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার বাড়ির দরজায় পৌঁছে যাবে আপনার পছন্দের রেস্টুরেন্টের খাবার অথবা রকমারি মিষ্টি। কলকাতা অথবা বড় বড় শহরের জন্য এরকম অ্যাপ দীর্ঘদিন ধরেই উপলব্ধ। কিন্তু সিউড়ির মত ছোট শহরে ছিল না এমন অ্যাপের প্রচলন। এক সপ্তাহ আগে এই অ্যাপের কাজ করা শুরু হয় আর তাতেই কালঘাম ছুটছে অ্যাপের উদ্যোক্তাদের। আসছে একের পর এক খাবারের অর্ডার। আর তারাই আবার এডমিন প্যানেলের কাজ শেষ করে চলে যাচ্ছেন খাবারের ডেলিভারি দিতে।
কিভাবে কাজ করছে এই অ্যাপ
একেবারেই বড় বড় সংস্থার হোম ডেলিভেরি অ্যাপের মতোই কাজ করছে এই অ্যাপ। অ্যাপের মাধ্যমে খাবারের অর্ডার দেওয়ার সাথে সাথেই সেই অর্ডার পৌঁছে যাচ্ছে ফ্ল্যাবিওর এডমিন প্যানেলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই এডমিন প্যানেল থেকে কেউ একজন গ্রাহককে ফোন করে সেই অর্ডারের কনফার্মেশন নিয়ে নিচ্ছেন। এরপরই গ্রাহকেরা রেস্তোরাঁ অথবা মিষ্টির দোকান থেকে খাবার ডেলিভারি বয়ের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে গ্রাহকের কাছে। তবে এই অ্যাপ এত তাড়াতাড়ি সিউড়ির মত মফস্বল এলাকায় এত দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করবে তা ভেবে উঠতে পারেননি ওই তরুণ-যুবকরা।
অ্যাপের উদ্যোক্তারা জানান, কিন্তু খাবার সম্বন্ধীয় এই অ্যাপ তাই খাবারের সুগন্ধের কথা ভেবেই ফ্লেবার থেকে অ্যাপের নাম দেওয়া হয়েছে ফ্ল্যাবিও।
উদ্যোক্তারা আরও জানান, তাদের এমসিএ পড়াশোনার সময় একটি এরকম অ্যাপ বানানোর প্রজেক্ট ছিল। পড়াশোনার জন্য তখন তারা এই অ্যাপ বানিয়েছিলেন। তারপর অ্যাপটিকে আরো ডেভলপ করে FLAVIO নাম দিয়ে নিজেরাই নেমে পড়েছেন।
শহরের ব্যবসায়ীরাও এই অ্যাপকে স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ তারা বুঝতে পেরেছেন এই অ্যাপের মাধ্যমে বেড়েছে বিক্রি বাটা।
আগামী দিনে এই অ্যাপের মাধ্যমে আরও বেশকিছু প্রোডাক্ট যেমন, গ্রোসারি থেকে সাজগোজের জিনিসপত্র গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এই তরুণ-যুবকদের বলে জানিয়েছেন তারা।