Low Cost Rice: ৪০ টাকা কেজি চাল অতীত, এবার ২৫ টাকায় মিলবে চাল! বড় সিদ্ধান্ত সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিত্য প্রয়োজনীয় যেকোনো জিনিসপত্রের দাম এখন আকাশছোঁয়া। দিন কয়েক আগেই দাম বাড়তে দেখা গিয়েছিল টমেটোর, এরপর আবার দাম বাড়তে দেখা যায় পেঁয়াজের। তবে এরই সঙ্গে সঙ্গে চাল (Rice) সহ অন্যান্য সামগ্রির দাম আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে তা বাজারে গেলেই বোঝা যায়। বছর দেড়েক আগেই যেখানে ৩০ টাকা কিলো সাধারণ চাল পাওয়া যেত, সেই জায়গায় এখন ওই একই চালের দাম (Rice Price) ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কিলো।

চালের দাম বৃদ্ধি পেয়ে যাওয়া যেকোনো দেশের যেকোনো মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের কাছে নরক যন্ত্রণার থেকে কম কিছু নয়। কেননা খেটে খাওয়া মানুষগুলি দুবেলা দুমুঠো অন্ন পেট ভরে খেতে পেলেই আর কিছু চান না। তবে যাতে চাল সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম আয়ত্তের মধ্যে থাকে তার জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কখনো রপ্তানি বন্ধ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, আবার কখনো ভর্তুকি সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে দামে লাগাম টানা হয়।

মাস কয়েক আগেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পারিবারিক সস্তায় আটা পৌঁছে দেওয়ার জন্য চালু করেছে ভারত আটা। ভারত আটা ২৭.৫০ টাকা কেজি দরে পেয়ে থাকেন দেশের মানুষ। একইভাবে সস্তায় ডাল দেওয়ার জন্য ভারত ডাল লঞ্চ করা হয়েছে। ৬০ টাকা কিলো দরে ভারত ডাল পেয়ে থাকেন সাধারণ মানুষেরা। আবার যদি কেউ ওজনে বেশি নেন অর্থাৎ পরিমাণে বেশি নেন সেক্ষেত্রে ৫৫ টাকা কিলো দরেও পাওয়া যায় ভারত ডাল।

আরও পড়ুন 👉 ভর্তুকিতে সস্তায় আটা আর ডাল, সবাই পাবেন! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

ঠিক একইভাবে এবার ৪০-৪৫ টাকা কিলো দরে চাল কেনার মত পরিস্থিতি থেকে দেশের সাধারণ মানুষদের রক্ষা করার জন্য আনা হলো ভারত রাইস (Bharat Rice)। সরকারের তরফ থেকে মাত্র ২৫ টাকা কিলো দরে ভারত রাইস দেওয়া হবে দেশের নাগরিকদের। ভারত আটা এবং ভারত ডালের মতই সস্তায় এবার চাল পৌঁছে দেবে কেন্দ্র। মূলত লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষদের স্বস্তি দিয়ে তাদের মন জয় করতে চাইছে।

এখন প্রশ্ন হলো ২৫ টাকা কিলো দরের এই চাল কোথায় কিনতে পাওয়া যাবে? ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজিউমার ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (NCCF), এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (NAFED), কেন্দ্রীয় ভান্ডারের দোকানগুলিতে ভারত রাইস পাওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন ভ্যানের মাধ্যমে এই চাল দেশের নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।