শনিবার নিরামিষ খাওয়ার শুধু ধর্মীয় নয় আছে বৈজ্ঞানিক কারণও! জেনে নিন

কথাতেই আছে মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙালি বাড়িতে মাছ ছাড়া একটি দিনও চলে না। মাছের বাজারে গেলেই ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে চলে দর কষাকষি। বাঙালির ভাতের পাতে মাছ ছাড়া অন্য কিছু যেন মুখে রূচতে চায় না। তবে শুধু মাছ নয়, কব্জি ডুবিয়ে পাঁঠার মাংসও ছুটির দিনে বাঙালি বাড়িতে মাস্ট।

শুধু স্বাদের দিক থেকে সুস্বাদু নয়, মাছ মাংস খাওয়ার গুণ কিন্তু কিছু কম নয়। ছোট থেকে বড় সকলের সুস্বাস্থ্য গড়ে তুলতে ও শরীরে বাড়তি প্রোটিন জোগাতে অত্যন্ত উপকারী মাছ মাংস। তবে সপ্তাহের ওই নির্দিষ্ট দিনগুলি আসলেই মাছ মাংস মুখে তোলেন না ধার্মিক মানুষজন। বেশির ভাগ বাঙালি বাড়িতে নিরামিষ হিসেবে পাতে থাকে ডাল পোস্ত বা ধোকার তরকারি।

আরও পড়ুন: তৃণমূল কাউন্সিলরের চরিত্র নিয়ে টানাটানি! নিজের এলাকাতেই পোস্টার! থানায় ছুটলেন কাউন্সিলর

তবে ধর্মীয় নিয়মের পাশাপাশি কিছু বৈজ্ঞানিক কারণও আছে বিশেষ কিছু দিনে মুখে আমিষ খাবার না তোলার। চলুন চটজলদি জেনে নেওয়া যাক এই প্রচলিত রীতির বৈজ্ঞানিক কারণসমূহ। অধিকাংশ মানুষজন সপ্তাহের তিনটি দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার বৃহস্পতিবার ও শনিবার নিরামিষ খাবার খান। তবে এই তিনটি দিনের মধ্যে শনিবার নিরামিষ খাবার কিছু বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে।

ছুটির দিন রবিবার এলেই বাঙালি বেরিয়ে পড়ে মাংসের থলি হাতে বাজারে। চিকেন মাটনের দোকানে লম্বা লাইন চোখে পড়ে ক্রেতাদের।বৈজ্ঞানিক মতে, শনিবার দিন চাঁদের আকর্ষণের প্রভাবে পৃথিবীর জলীয় ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটে, ফল স্বরূপ মানুষের শরীরে হজম শক্তির কার্য ক্ষমতা কম হয়ে যায়। তাই শনিবার দিন মাছ মাংসের মতো ভারী ভারী খাবার খেলে তা সহজে হজম হতে চায় না। বরং গ্যাস অম্বল বদহজম ও অন্যান্য শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

চাঁদের আকর্ষণ সমুদ্রে জোয়ার ভাটাকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি মানুষের শরীরে অভ্যন্তরীণ তরল ভারসাম্যও পরিবর্তন ঘটাতে পারে। তাই সপ্তাহের এই বিশেষ দিন অর্থাৎ শনিবারে হালকা এবং যা সহজে হজম করা যায় তেমন খাবার খাওয়াই উপযোগী বলে বিবেচিত হয়। শনিবার দিন নিরামিষ খাওয়ার অপর একটি কারণ হল কর্মফল দাতা শনিদেবের রোষের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া।