ওয়ার্নের মৃত্যু নিয়ে ঘনীভূত হচ্ছে নানান প্রশ্ন, নতুন তথ্য ঘিরে জল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে জানা যায় অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তির লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন মারা গিয়েছেন। হঠাৎ এই খবর স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দেয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে এই কিংবদন্তি তারকা’র। চিকিৎসকেরাও এই অনুমানের উপরই সিলমোহর দেন।

তবে এরপরেও নানান প্রশ্ন ঘিরে ধরেছে এই তারকার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। সত্যিই কি তার হার্টঅ্যাটাক অর্থাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ। এই সকল সমস্য রহস্য ভেদ করতে থাইল্যান্ড প্রশাসনের তরফ থেকে রবিবার অটোপসি করা হয়। এরপরেই সেখানকার এক সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ওয়ার্নের ঘরে বিছানায় এবং টাওয়ালে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে।

থাইল্যান্ডের ওই সংবাদমাধ্যমের এমনটা দাবি করার পর থেকেই ব্যাকফুটে থাকা বেশ কিছু প্রশ্ন চলে এসেছে ফ্রন্টফুটে। মাথাচাড়া দিচ্ছে তার মৃত্যু কি স্বাভাবিক নাকি রহস্য! যদিও এই সকল প্রশ্নকে উড়িয়ে দিয়েছে থাইল্যান্ড প্রশাসন। কারণ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল সিপিআর পদ্ধতিতে।

এই রক্ত প্রসঙ্গে থাইল্যান্ড প্রশাসন জানিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সিপিআর পদ্ধতিতে বাঁচানোর চেষ্টা সময় তার নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে এসেছে। ডাক্তারদের মতে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই চিকিৎসকেরাও এইসকল অস্বাভাবিক প্রশ্নকে আমল দিতে চাইছেন না। তবে এসবের পরেও কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে অটোপসি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসকল ঘিরে নানান জল্পনা তৈরি হলেও তা অবান্তর বলেও মনে করা হচ্ছে একাংশের তরফ থেকে।

সোমবার ওয়ার্নের দেহ আনা হবে অস্ট্রেলিয়ায়। জীবিতকালে ওয়ার্নের কাছে সিগারেট এবং বিয়ার খুব প্রিয় ছিল। যে কারণে তার নিথর দেহের পাশে অনেকেই লাল বলের পাশাপাশি বিয়ারের ক্যান এবং সিগারেটের প্যাকেট রেখে আসেন। আবার অনেকেই অপেক্ষা করছেন তার দেহ আসার জন্য।