শুভেন্দুর ভাইকে সরানো হলো পুর প্রশাসক থেকে, জল্পনা অধিকারী পরিবারে

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর জোর কদমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমে পড়েছেন। আর এই প্রচার চলাকালীন তিনি একটি সভায় ইঙ্গিত দেন, পুরো অধিকারী পরিবারই তৃণমূলের পাশ থেকে সরে যেতে পারে। আর এর পরেই কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর এই ঘটনায় ফের নতুন জল্পনা বঙ্গ রাজনীতিতে।

যদিও সৌমেন্দু অধিকারীকে প্রশাসকের পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। প্রশাসকের পদ থেকে সৌমেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়ার পর তার জায়গায় নতুন প্রশাসক হিসাবে বসছেন সিদ্ধার্থ মাইতি।

কিন্তু হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত! সাম্প্রতিককালে সৌমেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে সাংবাদিকদের সামনে অখিল গিরির বলেছিলেন, “সে বিজেপির হয়ে কর্মসূচির আয়োজন করছে। কেবলমাত্র মিছিলে হাঁটছে না। কাঁথির প্রশাসকের দ্বিচারিতা দল ও সরকার ধরে ফেলেছে। কিছুদিনের মধ্যেই প্রশাসক পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে।”

আর এই পদক্ষেপ নিয়ে নিন্দা শুরু হয়েছে অধিকারী পরিবারেও। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর দিব্যেন্দু অধিকারি তৃণমূলের সাথে থাকার অঙ্গীকার দিলেও এই ঘটনায় তার থেকেও কড়া প্রতিক্রিয়া শোনা গেছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, কাঁথি পুরসভায় তাঁর যে অফিস রয়েছে তাতে বুধবার থেকে আর বসবেন না তিনি। পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, “কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সৌমেন্দুর অপসারণ দুর্ভাগ্যজনক। ৫০ বছর ধরে কাঁথি পুরসভা পরিচালনা করছে অধিকারী পরিবার।”

আর এসবের পরেই জল্পনা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। অন্যদিকে শুভেন্দু খরদার জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “আমি বলছি বাবুসোনা, আমি তো অকৃতদার। এখনও তো বাসন্তি পুজো আসেনি, রামনবমী হয়নি। ফুটবে তো। আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। তোমার বাড়ির ভিতরে ঢুকেও পদ্ম ফুটাবো। হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে পদ্ম ফুটবে।”