সৌরভ ছাড়াও এই তিন কিংবদন্তিরও অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়েছিল BCCI, শেষ নামটা বিশ্বাস হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদন : সফলতা এনে দিতে না পারলে পদ থেকে সরে যেতে হয়। রাজনৈতিক আঙ্গিনা থেকে ক্রিকেট সব জায়গাতেই এমনই নিয়ম রয়েছে। এক্ষেত্রে যদি ক্রিকেটের দিকে তাকানো হয় তাহলে বারবার আলোচনায় আসেন সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly)। কেননা অনেকেই মনে করেন তার সঙ্গে তৎকালীন ভারতীয় ক্রিকেট দলের (BCCI) কোচ গ্রেগ চ্যাপেল যা করেছিলেন তা ঠিক করেননি। এখনো পর্যন্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই অধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেটে বিতর্কিত অধ্যায় হিসাবেই রয়ে গেছে।

তবে কেবলমাত্র সৌরভ গাঙ্গুলীর ক্ষেত্রেই এমন হয়েছিল তা নয়। এর পাশাপাশি আরও তিনজন কিংবদন্তিকে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল। এই তালিকায় যারা রয়েছেন তাদের প্রত্যেককেই শুধু ভারত নয়, বিশ্বের প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ চেনেন। এমনকি এই তালিকায় যে তিনজনের নাম আমরা বলতে চলেছি তার মধ্যে তৃতীয়জনের অধ্যায়টি বিশ্বাসই হবে না।

১) অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন হলেন বিরাট কোহলি। তার আমলে ভারতীয় দল আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকে বরাবর জায়গা করে রেখেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে হয়েছিল। মিটিংয়ের ৯ ঘন্টা আগে তিনি জানতে পেরেছিলেন তাকে আর বিসিসিআই অধিনায়ক হিসেবে রাখতে চাইছে না। এক দিবসীয় ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব চলে যাওয়ার কয়েক মাস পরেই তিনি নিজে থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন।

২) এরপরেই যে ক্রিকেটারের নাম করা যেতে পারে তিনি হলেন শচীন টেন্ডুলকার। তিনি দুবার ভারতের ক্রিকেট দলের হয়ে অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রথমবার অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার পর ফের ২০০৭ সালে তিনি অধিনায়কত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে সেই সময় তিনি এই দায়িত্ব না নিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম সাজেস্ট করেছিলেন।

৩) তালিকায় তৃতীয় নম্বরের রয়েছেন কপিল দেব। কপিল দেবের নেতৃত্বেই ১৯৮৩ সালে ভারত প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিল। কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার এক বছরের মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হন সুনীল গাভাস্কার। সুনীল গাভাস্করের নেতৃত্বে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্য পায় ভারত। এরপর ১৯৮৬ সালে ফের ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন হন কপিল দেব এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জেতে দেশ।