নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নদনদী এবং সমুদ্রে বড় বড় মাছ উঠতে দেখা যাচ্ছে মৎস্যজীবীদের জালে। বিশালাকৃতির ওই সকল মাছ বাজারে চড়া দামে বিক্রি হওয়ার ফলে ভাগ্য ফিরছে চাষীদের। লটারি লাগার মত এই সকল চাষীদের ভাগ্য বদলে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তাদের মুখে ফুটছে হাসি।
দিন কয়েক আগেই মুর্শিদাবাদের একটি বিশালাকৃতির সিলভার কার্প, এরপর দীঘায় তেলিয়া ভোলা, হাওড়ায় ভেটকি, দীঘায় চিরুনি মাছ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিশালাকৃতির নড়ে ভোলার পর এবার হুগলি নদীতে একসঙ্গে ১৮টি বিশালাকৃতির নড়ে ভোলা মাছ পাওয়া গেল। এর আগে এই বিশালাকৃতির মাছ মূলত একটি দুটি করে মিললেও ১৮ টি একসঙ্গে পাওয়ার ফলে ৫ মৎস্যজীবীর ভাগ্য ফিরলো রাতারাতি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার যে ৫ মৎস্যজীবী একসঙ্গে ১৮ টি এমন বিশালাকৃতির নড়ে ভোলা মাছ পেয়েছেন তারা অবশ্য এই মাছের জন্য কত দাম পাবেন তা জানতে পারেননি। কারণ মাছগুলি এখন নিলামের জন্য আনা হয়েছে ডায়মন্ডহারবারের মাছ বাজারে। তবে এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৫ কেজি ওজনের যে নড়ে ভোলা মাছটি পাওয়া গিয়েছিল তার প্রতি কিলোর দাম মিলেছিল এক হাজার টাকা।
বুধবার যে ১৮টি বিশালাকৃতির নড়ে ভোলা মাছ পাওয়া গিয়েছে সেগুলি হুগলি নদীতে আগুনমারি চড়ার কাছে কুলপি রাঙাফলার পাঁচ মৎস্যজীবীর জালে ওঠে। এক একটি মাছের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট বলে দাবি করেছেন ওই মৎস্যজীবীরা। বৃহস্পতিবার তারা নৌকা করে ফেরেন। তবে এই বিশালাকৃতির ১৮টি নড়ে ভোলা মাছের খবর তার আগেই গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। সেই মাছগুলি দেখার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বেলপুকুর এলাকায় ভিড় জমান সাধারণ মানুষ।
মৎস্যজীবীদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, একসঙ্গে যে ১৮টি নড়ে ভোলা মাছ পাওয়া গিয়েছে সেই সকল মাছগুলির একেকটির ওজন হবে কম করে ২৫ থেকে ৩০ কিলো। এই সকল মাছের দাম বেশ ভালো পাবেন বলে তারা আশা করছেন। তবে মাছের দাম যাই হোক না কেন এত সুন্দর মাছ দেখে গ্রামের বাসিন্দারা উজ্জীবিত।