Sugar Effect: চিনি খান না শাহরুখ থেকে জন! টানা ১৪ দিন চিনি না খেলে কী লাভ হয় জেনে নিন

সুস্থ শরীরকে ব্যস্ত না করতে চাইলে নিয়মিত শরীরচর্চা প্রয়োজন। আট থেকে আশি সকলেরই নির্দিষ্ট কিছু যোগ ব্যায়াম প্রতিদিনের তালিকায় রাখা উচিত। একইসাথে শরীরে জরুরি পুষ্টি ও উপযুক্ত খাওয়া। বলিউড থেকে টলিউড আজকাল সকলেই ফিট এন্ড ফাইন থাকার চেষ্টা করেন।পছন্দের খাবার ছেড়ে তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দেন সকল অভিনেতা অভিনেত্রী। শরীর সুস্থ রাখতে তাই তাদের অনেকেই রোজকার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন চিনি। কোনও কোনও অভিনেতা অভিনেত্রী আবার বেশ কয়েক বছরে মিষ্টি মুখেই তোলেননি।

বলিউডের কিং খানও এই পথেই হেঁটেছেন। শাহরুখ খান এক সাক্ষাৎকারে নিজ মুখে স্বীকার করেছিলেন তার রোজকার ডায়েট থেকে চিনি একবারে বাদের খাতায়। মিষ্টির সঙ্গে সম্পর্ক নেই বহু বছর। বছরে এক দুই বার স্ত্রী গৌরীর বানানো ডাইজেসটিভ বিস্কুট দিয়ে তৈরি আইসক্রিম টুকুই মিষ্টি হিসেবে মুখে তোলেন তিনি।বিগত ২৭ বছর ধরে মিষ্টির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন বলিউডের অভিনেতা জন আব্রাহামও। এক সাক্ষাৎকারে তাকে বলতে শোনা যায়, সুস্থ থাকতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে, ‘‘প্রথমেই খাবারের তালিকা থেকে মাখন, তেল, চিনি বাদ দেওয়া জরুরি।’’ বিগত ২৭ বছরে কাজু বরফি এক টুকরোও মুখে তোলেননি অভিনেতা জন।

আরও পড়ুন: AC Temperature : গরমে এসি চালানোর সঠিক তাপমাত্রা জানুন, বিদ্যুৎ বিল থাকবে নিয়ন্ত্রণে

তবে বছরের পর বছর চিনির এক দানা মুখে না তোলা মোটেই সহজ কথা নয়। তবে চিকিৎসকের তরফে চিনি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যতটা সম্ভব। চিনি রোজের তালিকা থেকে বাদ দিলে শরীরে যে ইতিবাচক পরিবর্তন হয় তা শুধু চিকিৎসক মহল নয় জানিয়েছেন টানা ১৪ দিন চিনি না খেয়ে থাকা কৌতুকাভিনেতা সুমুখী সুরেশ।

গোটা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চিনিতে হাত না দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তিনি সেই অভিজ্ঞতাই সুমুখী ভাগ করে নেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে মজার করে তিনি মন্তব্য করেন ‘‘ চিনি হল ঠিক প্রাক্তন প্রেমিকের মতো। সারাদিনে ব্যস্ততার সময় তার কথা মনে পড়ে না। কেবল রাত দশটা নাগাদ, একাকিত্বের সময় তার কথা মনে পড়ে। ঠিক সে কারণে রাতে মিষ্টি খেতে মন করে।’’ অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ চিনি না খাওয়ার পর বুঝতে পেরেছিলাম চিনি ছাড়া কফি খেতে বেশি ভালো লাগে। যেই স্বাদ আগে কখনো পাইনি।’’

চিনি ছাড়ার পর থেকে শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি শক্তি পেয়েছেন এ কথা নিজে মুখেই স্বীকার করেছে সুমুখী। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর কথায়, ” চিনি না খেলে পরিবর্তন আবশ্যক। শুধু চিনি খেলে কোনো উপকারিতা নেই। চিনি বা মিষ্টি জাতীয় কিছু খেলে সরাসরি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ১৪ দিন চিনি তালিকা থেকে বাদ দিলে শরীরে পরিবর্তন দেখা যাবে। এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। “সুগারের চিকিৎসক রাজীব কোভিলর কথায় ‘‘ একবারে চিনি ছেড়ে দেওয়া সহজ নয়। কিন্তু একটানা দু’সপ্তাহ চিনি না খেলে তার উপকারিতা বোঝা সম্ভব।”

ডাক্তারদের মতে টানা ১৪ দিন চিনি না খেলে কী উপকার হয় জানেন?

১.চিনি বা মিষ্টি জাতীয় কিছু খেলে রক্তে সরাসরি বেশকিছুটা শর্করা চলে যায়। যাদের রোজ মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের কখনও শর্করার মাত্রা নামতে পারে। তখন আবার মিষ্টি খাওয়ার মন হতে পারে বলে জানাচ্ছেন ডাক্তার সুবর্ণ। তবে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকবে, বিশেষত ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে চলা উচিত।

২.রক্তে শর্করার বারংবার ওঠা-নামার ফলে ব্যক্তির মেজাজেও আচমকা পরিবর্তন দেখা যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা কম হলে মেজাজও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

৩.অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, ব্রণ-সহ ত্বকের নানান সমস্যা দূর করতে বাদের খাতায় রাখতে হবে চিনি।

৪.শরীর সুস্থ রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণ ভীষণই জরুরি। চিনি ছেড়ে দিলে তলপেটের মেদ খুব সহজেই ঝরে যায়। তাছাড়া ওজন যত বাড়বে ততই নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে। খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। তাই ওজন বশে রাখার জন্য চিনি বাদ দেওয়া দরকার।