ফুল ফুটতে না ফুটতেই বিয়ে! দু’বছরে বিচ্ছেদও, চরম আফসোস স্বস্তিকার

দেখা শোনা করেই বিয়ে হয়েছিল স্বস্তিকা মুখোাধ্যায়ের (Swastika Mukherjee)। তখন তার খুবই অল্প বয়স। কিন্তু বেশিদিন টেকে না সেই বিয়ে। একটি কন্যা সন্তানকে নিয়ে ফিরতে হয় খালি হাতে। আজ এত বছর পর জীবনের সব না পাওয়া গুলো হভ সম্পর্কে কি বললেন স্বস্তিকা? কেমন কেটেছে সেই একা মায়ের জীবন? জানতে পড়ুন এই প্রতিবেদনটি।

বাংলা সিরিয়ালের হাত ধরে অভিনয় শুরু করেন স্বস্তিকা মুখোাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে হলেও ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নিতে কঠিন লড়াই করতে হয়েছে তাকে। কমার্শিয়াল এবং আর্ট হাউজ, দুই রকম ছবিতেই কাজ করেছেন তিনি। এবং প্রমাণ করেছেন এই দুরকম ছবিতে তিনি সমান পারদর্শী। আর এখন তো বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন তিনি। সম্প্রতি নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘কলা’তে দেখা গিয়েছে স্বস্তিকাকে। তৃপ্তি দিমরির মায়ের চরিত্রে স্বস্তিকার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।

স্বস্তিকা মুখপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) বার বারই বলে থাকেন তার সঙ্গে অন্বেষার সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ। বহুবার স্বস্তিকার মুখে শোনা গিয়েছে, মেয়েই তাঁর শক্তি এবং সাহস। ভেঙে যাওয়া বিহাহিত জীবনের বোঝা লম্বা সময় ধরে বয়ে বেড়াতে হয়েছে স্বস্তিকাকে। তার সাথে আইনি জটিলতা তো ছিলই। তবে সব কিছু পেরিয়ে আজ একজন সফল অভিনেত্রী এবং সফল মা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। গত সপ্তাহেই মেয়ের ২৩তম জন্মদিনে তার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে একটি ভালোবাসা ভরা পোস্ট শেয়ার করতেও দেখা গেছে স্বস্তিকাকে।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল স্বস্তিকার। মাত্র ১৮ বছর বয়সে বাবা-মা’র পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছিল তার। তবে কয়েক বছর যেতে না যেতেই সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়। ছোট্ট শিশু সন্তানকে কোলে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্বস্তিকা। তারপর থেকে একাই মানুষ করেছেন মেয়ে অন্বেষাকে। এখন স্বস্তিকার মেয়ে বেশ বড়ো হয়ে গিয়েছে। সে বিদেশে গিয়ে স্নাতোকত্তোরের পড়াশোনা করেছে। সম্প্রতি ‘অউর বাতাও’ নামের একটি শো’তে আরজে স্তুতি স্বস্তিকাকে জিজ্ঞেস করেন যে, কম বয়সে বিয়ে, বিচ্ছেদ ও তার পর সিঙ্গেল মাদার হয়ে ওঠার সাথে কখনও কি আফসোস হয়েছে স্বস্তিকার?

তখন এই প্রশ্নের উত্তরে স্বস্তিকা জানান, তার অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ হয়েছিল। আর তার এই সব নিয়ে এখন আর কোনও আফসোস নেই, কারণ তিনি বলেন তিনি হয়তো বিয়ে ছাড়াও জীবন কাটাতে পারতেন, কিন্তু তেমন হলে অন্বেষা তার সঙ্গে থাকতো না। আর এটা ভেবে তার মনে হয় তার সন্তান না থাকলে তার অস্তিত্বটাই অবলুপ্ত হয়ে যেত। তিনি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কাছে কৃতজ্ঞ যে অন্বেষাকে তিনি পেয়েছেন। আর তার কন্যা না থাকলে তিনি ধ্বংস হয়ে যেতেন। তিনি আরো বলেন, তার এই পেশাটার মধ্যে একটা নিজস্ব স্ট্রাগল আছে, সেটা সকলেই জানেন। আর এই টিকে থাকার লড়াইয়ে তিনি জিতে গেছেন শুধু তার মেয়ের জন্য। সে না থাকলে হয়তো আজকের স্বস্তিকাকে দর্শক দেখতে পেত না।