হাওড়া স্টেশনের পুরানো ও নতুন কমপ্লেক্সের রূপ বদলাতে বসছে ছাউনি! রোদ-জল আর গায়ে লাগবে না মেট্রো যাত্রীদেরও

দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন হল হাওড়া। বহু মানুষের রোজের যাতায়াতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাওড়া স্টেশন। আর এবার ভোল বদলাচ্ছে বহু প্রাচীন হাওড়া স্টেশনের। এবার থেকে আর রোদে জলে নাজেহাল হতে হবেনা যাত্রীদের। হাওড়া স্টেশনের পুরনো কমপ্লেক্স থেকে নতুন কমপ্লেক্সে যাত্রীদের যাতায়াত হবে আরও সহজ। দুই কমপ্লেক্সের দৈনন্দিন যাত্রীরা তো বটেই, মেট্রো স্টেশনের যাত্রীরাও একই সুবিধা পাবেন। তিনটি স্টেশনকে যুক্ত করে ছাউনি দেওয়া রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে।

হাওড়া ডিআরএম সঞ্জীব কুমার এর তরফে জানানো হয়েছে, রোজ দশ লক্ষেরও অধিক যাত্রীর পা পড়ে এই হাওড়া স্টেশন চত্বরে। তার সঙ্গে মেট্রো চালু হওয়ায় যাত্রীসংখ্যা আরও বেড়েছে। এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে চলাচলের সময় যাত্রীদের লাগেজ-সহ নানা ভোগান্তি হত। বিশেষত বৃষ্টির দিনে অথবা প্রচণ্ড রোদে হাঁটতে গিয়ে সমস্যায় পড়তেন।

আরও পড়ুন: শহরের ৮০ টিরও বেশি রুফটপ বার-রেস্তোরাঁ-ক্যাফে এবার চলে যাচ্ছে বাদের খাতায়!আপনার প্রিয় রেস্তোরাঁর নামও খুঁজে পেলেন নাকি বন্ধের তালিকায়?

এই সমস্যা সমাধানের পথে হেঁটে তিন স্টেশনকে সংযুক্ত করে আধুনিক ছাউনিযুক্ত রাস্তা নির্মিত হবে। ডিআরএম সঞ্জীব কুমারের মতামত অনুযায়ী এই প্রকল্পের জন্য মোট পনেরো কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং ছয় মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। হাওড়া ওল্ড কমপ্লেক্সের ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে নিউ কমপ্লেক্সের ১৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত তৈরি হবে এই নতুন রাস্তা, যার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রো স্টেশনও।

শুধু হাওড়া স্টেশন নয়, অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় হাওড়া ডিভিশনের অন্তর্গত আরও পনেরোটি স্টেশনের আধুনিকীকরণ চলছে। অনেক স্টেশনের মূল ভবন নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে এবং পুরনো চেহারায় ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। বেশ কিছু দিন আগে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ কে দেউসকর বিভিন্ন স্টেশনের কাজ পরিদর্শন করে জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হবে।