ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দেশের সেনাপ্রধান অনিল চৌহান আরও বিস্তৃত ক্ষমতা পেলেন। এবার তিনি টেরিটোরিয়াল আর্মিকেও নির্দেশ দিতে পারবেন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, টেরিটোরিয়াল আর্মি রুল, ১৯৪৮-এর ৩৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী সেনাপ্রধান এখন থেকে টেরিটোরিয়াল আর্মির অফিসারদের প্রয়োজনে ডেকে কাজ করাতে পারবেন। তাঁদেরকে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত করা ছাড়াও সেনাবাহিনীর রসদ সরবরাহ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা যাবে।
বর্তমানে দেশে মোট ৩২টি টেরিটোরিয়াল আর্মি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি ব্যাটালিয়নকে সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, মধ্য, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং আন্দামান ও নিকোবর কমান্ডে তাঁদের মোতায়েন করা হবে। যদিও সাধারণ পরিস্থিতিতে তাঁদের যুদ্ধক্ষেত্রে বা সীমান্তে পাঠানো হয় না, তবে কোনও চরম জরুরি অবস্থা তৈরি হলে ব্যতিক্রম হতে পারে। সাধারণত তাঁরা সরবরাহ, নাকা চেকিং এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মতো দায়িত্ব সামলান।
আরও পড়ুন: ইলেকট্রিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন! উত্তরবঙ্গে আরও ৫টি রেলপথে শুরু হচ্ছে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন চলাচল
টেরিটোরিয়াল আর্মি কারা?
ভারতের টেরিটোরিয়াল আর্মি হল একটি স্বেচ্ছাসেবক ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের নিয়ে গঠিত সহায়ক বাহিনী, যারা প্রয়োজনে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে। এতে অফিসার, জুনিয়র কমিশনড অফিসার, নন-কমিশনড অফিসার এবং বিভিন্ন বেসামরিক পেশাজীবীরাও অন্তর্ভুক্ত, যাঁরা সেনার নির্দিষ্ট মর্যাদাপ্রাপ্ত।
দেশের অনেক বিখ্যাত ক্রীড়াবিদও এই বাহিনীতে সম্মানসূচক সদস্যপদ পেয়েছেন। যেমন-কপিল দেব, শচীন তেন্ডুলকর, মহেন্দ্র সিং ধোনি, নীরজ চোপড়া, অভিনব বিন্দ্রা এবং রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর এরা সকলেই টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্য। ফলে প্রয়োজনে তাঁদেরও ডাকা যেতে পারে। রাশিয়া ও চীনের মতো কিছু দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নাগরিকদের বাধ্যতামূলকভাবে সেনায় যোগ দিতে হতে পারে। কিন্তু ভারতে এরকম কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তাই প্রয়োজনে টেরিটোরিয়াল আর্মি একটি রিজার্ভ বাহিনী হিসেবে সেনার পাশে দাঁড়ায়।