Higher Secondary Exam 2024: সরকারের সঙ্গে চিটিংবাজি হাজার হাজার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের, ছেড়ে কথা বলবে না সরকারও

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। যাতে পড়ুয়ারা দূর দূরান্ত থেকে সহজেই স্কুলে আসতে পারে তার জন্য তাদের সাইকেল দেওয়া হয়। ঠিক সেই রকমই স্কলারশিপ থেকে শুরু করে মোবাইল ইত্যাদি অনেক কিছুই দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এসবের পরেও এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় (Higher Secondary Exam 2024) পরীক্ষার্থীদের একাংশের যা মনোভাব দেখা গেল তা চিটিংবাজির থেকে কম কিছু নয়।

দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পড়ুয়াদের বাড়িতে বসেই যাতে পড়াশোনা করতে অসুবিধা না হয় তার জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল। এই টাকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল মূলত স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার জন্য। সরকারের সেই ঘোষণার পর থেকেই প্রতিবছর দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা ট্যাবের জন্য ১০ হাজার টাকা করে পাচ্ছিল।

তবে এই বছর পরীক্ষা শুরু হতেই দেখা গেল ট্যাব কেনার টাকা নিয়েছে অথচ পরীক্ষায় বসছে না শুধুমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রায় ১ হাজার ৮৫১ জন। এই পরিসংখ্যান কেবলমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই। এমন পরিসংখ্যান রাজ্যের অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রেও থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের সব জেলা মিলিয়ে এই সংখ্যা কয়েক হাজার হয়ে যাবে বলে অনুমান। এই সমস্ত পড়ুয়ারা কিন্তু ট্যাবের জন্য টাকা নিয়েছে অথচ পরীক্ষা দিচ্ছে না।

আরও পড়ুন 👉 Higher Secondary Syllabus: আর থাকবে না পুরাতন নিয়ম, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পদ্ধতিতে আসছে বড় বদল

ট্যাবের জন্য টাকা নিয়ে পরীক্ষায় না বসার বিষয়টি উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে। কেননা এমন ঘটনা শুধু এই বছর নয়, ২০২২ সালের পর থেকেই হয়ে আসছে। এক্ষেত্রে ওই সকল পড়ুয়াদের জন্য সরকারের তরফ থেকে হাজার হাজার টাকা খরচ করা হলেও ঐ সকল পড়ুয়ারা পরীক্ষায় না বসে সরকারের সঙ্গে রীতিমত চিটিংবাজি করছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। তাদের দাবি পরীক্ষায় পাশ ফেল আছে, কিন্তু পরীক্ষায় তো বসতে হবে।

তবে এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এত সহজে ছেড়েও কথা বলবে না প্রশাসন বলেই জানা যাচ্ছে। এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ওই সকল পড়ুয়াদের খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের থেকে জানতে হবে পরীক্ষায় না বসার কারণ। তবে এই ধরনের পড়ুয়াদের খুঁজে বের করতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বলেও জানা যাচ্ছে। অনেকেই দাবি করছেন, এমন পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ যেন কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে।