নিজস্ব প্রতিবেদন : জমি কেনা নয়, জমি কেনার সঙ্গে সঙ্গে তার মালিকানা পাওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক কাজ করতে হয় ক্রেতাদের। আর সেই সকল কাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হল মিউটেশন (Land Mutation)। এই মিউটেশনের জন্য ক্রেতাদের বিভিন্ন সময় বারবার ঘুরতে হয়। ঘুরতে ঘুরতে বহু সময় ক্রেতারা একেবারেই বিরক্ত হয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে ঠিকা জমির মিউটেশন নিয়ে দারুণ সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে কলকাতা পুরনিগম (KMC)।
সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে ঠিকা জমির মিউটেশন নিয়ে কলকাতা পুরনিগমের এমন নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানা গিয়েছে। দিন কয়েক আগেই কলকাতা পৌর নিগমের অফিসে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) দুজনের হাতে ঠিকা জমি লিজ সংক্রান্ত নথি তুলে দেন। যেখানে তিনি জানান, সচিবদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ঠিকা ভাড়াটেরা এখন ইজারার অধিকার পাওয়ার যোগ্য। ঠিকা ইজারাদার হিসাবে তাদের চিহ্নিত করা হবে যারা কয়েক প্রজন্ম ধরে কোন প্লটে বসবাস করছেন।
ঠিকা ভাড়াটিয়াদের এই অধিকার দেওয়া হবে পশ্চিমবঙ্গ ঠিকা প্রজাস্বত্ব (অধিগ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৯ অনুযায়ী। পূর্বে এই সকল ব্যক্তিরা কেবলমাত্র ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকার অধিকার পেতেন। ইজারাদার হিসাবে স্বীকৃতি পেলে ওই ভাড়াটিয়ারা ঋণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাবেন। এর পাশাপাশি ঠিকা জমিতে যারা বসবাস করছেন তারা যাতে মিউটেশনের জন্য দ্রুত সার্টিফিকেট পান তার বন্দোবস্ত করা হবে।
জানা যাচ্ছে, যারা ঠিকা জমিতে বসবাস করছেন তারা এবার আবেদন করলে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে মিউটেশন সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। পুরসভার ঠিকা কন্ট্রোলার অফিস থেকে তাদের মিউটেশন সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে। এই সকল ঠিকা জমি আগে জমিদারদের মালিকানাধীন ছিল। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে সেই সকল জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
কলকাতা পুর নিগমের তরফ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মূলত নিজেদের বাড়ি তৈরি করার জন্য এই ধরনের ঠিকা জমিতে থাকা মানুষদের আরও বেশি করে উদ্বুদ্ধ করার জন্য। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “আমরা জমিতে বাড়ি তৈরির জন্য আরও বেশি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। আমাদের কাছে এসে বিল্ডিং প্ল্যান জমা দিলেই তা অনুমোদন পাবে। ফলে তাঁরা আরও ভালোভাবে সেখানে বসবাস করতে পারবেন।”