Hooghly ferry ghats Project: শৌচাগার থেকে বিশ্রামাগার! ফেরিঘাটে এসে আর চিন্তার দিন শেষ, হুগলিকে নিয়ে বড় পরিকল্পনা কেন্দ্রের

Three ferry ghats in Hooghly under the central project: পরিবহন ব্যবস্থা হল যে কোন রাজ্য কিংবা দেশের সবথেকে বড় সম্পদ। বর্তমানে এ রাজ্যে সড়কের ভার কমাতে জলপথ পরিবহণে জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ফেরিঘাটের পরিকাঠামো গড় তুলতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রের বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের অধীন আন্তর্দেশীয় জলপথ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ বা ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ় অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা আইডব্লুএআই। এই কাজে আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এমনকি এই প্রকল্পের আওতায় হুগলি জেলাতেও একাধিক ফেরিঘাট (Hooghly ferry ghats Project) ঢেলে সাজানো হবে।

হুগলি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এখানকার জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য বৃহস্পতিবার আইডব্লুএআই বৈঠক করেছিল। বৈঠকটি হয়েছিল জেলাশাসকের কার্যালয়ে। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অমিতেন্দু পাল-সহ প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরা। এছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা দেবাশিস রায়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বিজন বেসরা প্রমুখও। আইডব্লুএআই-এর আধিকারিকেরা এই বৈঠকে সার্বিক পরিকল্পনাটি বুঝিয়ে বলেন। আইডব্লুএআই মারফত জানা গেছে যে জলপথ পরিবহনের এই উন্নতি প্রকল্পের (Hooghly ferry ghats Project) কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরাও একই কথা জানান।

প্রশাসন ও আইডব্লুএআই সূত্রে জানা গিয়েছে এই প্রকল্পের অধীনে পড়ছে বলাগড় ব্লকের গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট, চুঁচুড়া-মগরা ব্লকের চন্দ্রহাটি ২ পঞ্চায়েতের শর্মাবাবু ফেরিঘাট এবং বাঁশবেড়িয়া পুরসভার সপ্তর্ষি ফেরিঘাট। এছাড়াও কেন্দ্রের ‘জল মার্গ বিকাশ’ নামে ওই প্রকল্পে যাত্রী স্বাচ্ছ্যন্দ্যের কথা মাথায় রেখে ফেরিঘাটে আধুনিক জেটি তৈরি করা হবে। পাশাপাশি অবশ্যই থাকবে শৌচাগার কমপ্লেক্স, বিশ্রামাগার-সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। এবার থেকে সৌরশক্তিতে আলো লাগানো হবে এবং রাজ্যের একাধিক ফেরিঘাটকে এই প্রকল্পের (Hooghly ferry ghats Project) আওতায় আনা হবে। এই প্রকল্পের কাজ চলবে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ— এই চার রাজ্যে।

আরও পড়ুন 👉 ১৫টি ঝাঁ চকচকে ভেসেল নামছে হুগলি নদীতে, রয়েছে ব্যাপক সব সুবিধা

সূত্র মারফত অবশ্য জানা গেছে যে, গুপ্তিপাড়া এবং শর্মাবাবু ফেরিঘাটে (Hooghly ferry ghats Project) কাজের ছাড়পত্র ‘এনওসি’ অর্থাৎ নো অবজেকশন সার্টিফিকেট ইতিমধ্যেই দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য ফেরিঘাটটির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা সমাধানেরও চেষ্টা চলছে। পরিকাঠামো তৈরির পক্ষে ওই জায়গা উপযুক্ত মনে হয়েছে। জলপথ পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত হলে জাতীয় সংখ্যা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাবে। সড়কের চাপ কমাতে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে এবং যানজটও কমবে। সেই কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইডব্লুএআই সূত্রের দাবি, ওই প্রকল্প হলে সংশ্লিষ্ট জায়গায় গঙ্গার দুই পাড়ের মানুষের শুধু যে যাতায়াতের সুবিধা হবে তা নয় কর্মসংস্থানের ও সুবিধা হবে। এছাড়াও তিন জায়গায় এলাকাভিত্তিক বৈঠক করা হয়েছে স্থানীয়দের নিয়ে। এই প্রকল্প এর জন্যে কী কী সুবিধা হবে, সে ব্যাপারে বোঝানো হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করা হয়েছে। গুপ্তিপাড়া ১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা বর্তমান সদস্য বিশ্বজিৎ নাগ অবশ্য বলেছেন যে, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এই পঞ্চায়েতের তরফে এনওসি ব্লক প্রশাসনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্লক থেকে তা জেলা প্রশাসনের কাছে চলে গিয়েছে বলে জানানো হচ্ছে।