Tihar Jailor : সিংঘম অফিসারের চুনা লাগল ৫০ লাখ! তিহারের জেলার পুলিশের দ্বারস্থ

Tihar Jailor : দেশের কুখ্যাত আসামীরা বন্দী আছেন তিহার জেলে। সেই তিহার জেলে ত্রাস দীপক শর্মা। যিনি তিহার জেলের সিংঘম বলেই পরিচিত। বডি বিল্ডার এই পুলিশ অফিসার রয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারেনটেনডেন্ট পদে। সিংঘম এই পুলিশ অফিসারের রাজত্ব চলে কুখ্যাতদের ঠিকানা তিহারে। সুদর্শন এই পুলিশ অফিসারকে দেখে রীতিমত ফিদা নেটিজেনরা। আর তাকেই কিনা চুনা লাগালো প্রতারক। প্রতারণার পরিমাণটাও অল্পস্বল্প নয়। আর এই খবরেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।

অভিযোগ সামনে এনেছেন দীপক শর্মা নিজেই। অভিযোগ করেছেন, হেলথ প্রোডাক্ট বিজনেসে বিনিয়োগের নামে তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। প্রতারণা করা হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকার। আর যার দিকে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন এই পুলিশ অফিসার, তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ পরিচিত। যিনি আন্তর্জাতিক একটি টেলিভিশন চ্যানেলে রিয়েলিটি শোয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। রিয়ালিটি টিভি স্টার রৌনাক গুলিয়া এবং তাঁর স্বামী অঙ্কিত গুলিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের তির তিহারের জেলারের। জাতীয় স্তরের কুস্তিগীর রৌনাক।

সিংঘম পুলিশ অফিসার অভিযোগের প্রতিলিপিতে জানিয়েছেন, হেলথ প্রোডাক্টের বিজনেস বিনিয়োগকারির খোঁজ করছিলেন রৌনকের স্বামী অঙ্কিত গুনিয়া। সেই কথা রৌনকের কাছে জানতে পারেন দীপক। এরপর গুলিয়াদের কোম্পানিতে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন দীপক। পরিবর্তে মুনাফার গ্যারিন্টি দিয়েছিল গুলিয়া দম্পতি। পাশাপাশি দীপককে সেই ব্র্যান্ডের মুখ করার কথাও জানিয়েছিল। কিন্তু অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ ট্রান্সফার করবার পর থেকেই তাদের সঙ্গে কোনওরকম যোগযোগ করতে ব্যর্থ হন দীপক।

এই ঘটনার পর বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন সিংঘম পুলিশ। পূর্ব দিল্লির মধুর বিহার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে এই ঘটনার পর ইনস্টাগ্রামে লাইভে এসে দীপক শর্মার যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন রৌনক। তিনি দাবি করেছেন, ওই পুলিশ আধিকারিক আগেও তাকে অনেকবার ফোন করে হুমকি দিয়েছেন। এরপর তার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে রৌনক ইনস্টাগ্রাম লাইভে দাবি করেছেন, যে কোম্পানিতে দীপক শর্মা বিনিয়োগের কথা বলছেন, সেই কোম্পানি এক বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে সিংঘম পুলিশকে চুনা লাগানোর খবরে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া।