কেষ্ট, পার্থ সব চুনোপুঁটি! জীবনকৃষ্ণর বাড়ি, গাড়ি, গোডাউন মাথা ঘুরিয়ে দেবে আপনার

নিজস্ব প্রতিবেদন : ৬৫ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে সোমবার ভোর বেলায় গ্রেপ্তার করা হয় মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jibankrishna Saha)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষ হয়ে এবার গ্রেপ্তার জীবনকৃষ্ণ।

নিয়োগ দুর্নীতি হোক অথবা গরু পাচার কান্ড, এখনো পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের সবাইকে সম্পত্তির নিরিখে টেক্কা দেবেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার এই বিধায়ক। বিধায়কের বাড়ি হল বড়ঞার আন্দি। সেখানে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে তার এমনই জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে। তার যে বাড়িটি রয়েছে সেই বাড়িটি এক বিঘার বেশি জমির উপর। এছাড়াও গাড়ি, পুকুর, গোডাউন কিনা নেই!

জীবনকৃষ্ণ সাহা পেশায় একজন শিক্ষক। একজন শিক্ষকের বিপুল পরিমাণ এই সম্পত্তি কিভাবে হল তার খোঁজ নিতেই সিবিআই আধিকারিকদের চক্ষু চরকগাছ হয়ে যায়। পৈতৃক সূত্রে বিভিন্ন জায়গায় জমি জমা থাকলেও ২০১৮ সালের পর থেকে জীবন কৃষ্ণ সাহা ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন বলে জানা গিয়েছে। মহঃবাজার থেকে বহরমপুর যাওয়ার যে রাস্তা সেখানে আন্দি বাজারের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে তার বাড়িটি।

তার বাড়ি বিশাল কিছু ডিজাইন দিয়ে কারুকার্য করা নয় ঠিকই তবে বেশ বড়সড়। সেখানেই উঁচু পাঁচিলের চৌহদ্দির মধ্যে রেশন সামগ্রী মজুত রাখার জন্য রয়েছে বিশাল গোডাউন। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই গোডাউন থেকেই বড়ঞা ব্লকের যে সকল রেশন দোকান রয়েছে সেই সকল রেশন দোকানে সামগ্রী যায়।

এর পাশাপাশি এই এক বিঘার উপর জমির পাচিলের চৌহদ্দির মধ্যেই রয়েছে বিধায়কের একাধিক লরি এবং চারচাকা গাড়ি। বিধায়কের বাড়ির পিছনে রয়েছে একটি পুকুর। আবার পুকুরের পাশে উর্বর ১৫ বিঘা জমি রয়েছে জীবন কৃষ্ণের। এছাড়াও বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় জীবনকৃষ্ণ সাহার নামে রয়েছে প্রচুর সম্পত্তি। সব সম্পত্তি মিলিয়ে ৩০০ কোটি টাকার বেশি হবে এমনই অনুমান। পাশাপাশি বেনামেও সম্পত্তি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা দাবি করছেন, বিপুল এই সম্পত্তি তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। তবে স্থানীয়দের কথা অবশ্য অন্য।