আমফানে সব মিলিয়ে ১৮০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, জেলাকে বাঁচাতে বৈঠকে জেলা প্রশাসন

হিমাদ্রি মন্ডল : ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী একটি প্রশাসনিক বৈঠক মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হলো বীরভূমের সিউড়ির জেলাশাসক দপ্তরে। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, পুলিশ সুপার শ্যাম সিং ও জেলা পরিষদের পরামর্শদাতা অভিজিৎ সিংহ ও অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু ছিল রাজ্যের উপর দিয়ে যাওয়া সুপার সাইক্লোন আম্ফানে জেলার ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান, একের পর এক কালবৈশাখীতে বিধ্বস্ত জেলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা এবং আগামীদিনে যে সকল ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সেগুলির মোকাবিলা করা।

দীর্ঘক্ষণ বৈঠক চলার পর বীরভূম জেলা পরিষদের পরামর্শদাতা অভিজিৎ সিংহ জানান জেলায় কোথায় কোথায় আমফানের কেমন প্রভাব পড়েছে, কত ক্ষতি। কতজনের মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে তিনি জানান, “আজ জেলা সমাহর্তা আমফানে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এই বৈঠক ডেকেছিলেন। বৈঠকে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি গতকাল জেলায় যে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে এবং তার ফলে যে সকল ক্ষতি হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়। গতকালও ঝড়-বৃষ্টিতে দুবরাজপুরে দুজন মারা গেছেন। ওই দুজনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে ক্ষতি দেওয়া হয় তা দেওয়া হবে পরিবারকে। পাশাপাশি আগামীদিনে ঝড় বৃষ্টির যে খবর রয়েছে তার পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা কতটা প্রস্তুত তাও খতিয়ে দেখা হয়।”

আগামীদিনে আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে একের পর এক কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যে কারণে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এদিন জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বিদ্যুৎ দপ্তর ও অন্যান্য দপ্তরগুলিকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। যাতে করে কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হলেই যেন তৎপরতার সাথে তা মোকাবিলা করা যায়।

এছাড়াও এদিন বীরভূম জেলা পরিষদ পরামর্শদাতা অভিজিৎ সিংহ সুপার সাইক্লোন আমফানে জেলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জানান, “ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে জেলায় ৩০০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত। পাশাপাশি ১৬০০টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন।” মোটের উপর সুপার সাইক্লোন আমফানের প্রকোপে জেলায় ১৮০০টি বাড়ি ক্ষতির সম্মুখীন।