দিন যত এগোচ্ছে ততই ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে একের পর এক উদ্যোগ সামনে আসছে। বাদ যাচ্ছেনা রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজও। আর এরই মধ্যে রেলের তরফে আরও এক উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা গেল। মূলত প্রত্যেকটি রেল স্টেশনই প্ল্যাটফর্ম বোর্ডে নির্দিষ্ট স্টেশনের নাম লেখা থাকে। ঠিক তেমনই কোচবিহারেও লেখা রয়েছে। তবে কোচবিহার রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের দুটো বোর্ডে নজর রাখলে দেখা যাবে কোচবিহার বলে লেখা নামটির পাশে ইংরেজি বর্ণমালার ‘এইচ’ অক্ষরটি লেখা রয়েছে। যা নিয়ে কার্যত জোর চর্চা শুরু হয়েছে রেলের ভিতরে।
ইংরেজি এই অক্ষরটি (এইচ) কে বা কারা আচমকা লিখল তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে রেলের কর্তারা। এই ঘটনার এইচ অক্ষরটি লেখার যথাযথ কারণ সুস্পষ্ট না হওয়ায় শেষমেশ বোর্ডের পাশে থাকা এইচ অক্ষরটি সম্পূর্ন মুছে ফেলার সিদ্ধান্তে অনর হয়েছেন তারা। রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার অভয় গণপত সনপ এর তরফে জানানো হয়েছে, ‘এই ব্যাপারটি নিয়ে কিছু সুস্পষ্ট হয়নি। এমন অক্ষর হয়তো ভুলবশত বসানো হয়েছিল। তা আগামী সাত দিনের মধ্যে মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: Abhijeet Sawant: ইন্ডিয়ান আইডলের বিজয়ী অভিজিতের মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?
যদিও এই বিষয় সম্পর্কে রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশন থেকে কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করা হয়। এরপরেই কার্যত নড়েচড়ে বসে তারা। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সদর দপ্তর মালিগাঁওতে ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার এই বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কথাবার্তা বলেন। কারণ জোন থেকে বিভিন্ন রেল স্টেশনের নামের বোর্ড লেখার কাজ সাধারণত কেন্দ্রীয় ভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর দায়িত্বে থাকে। তবে দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন সেখানে অপেক্ষা করার পরেও ‘এইচ’ লেখার আসল কারণ অধরাই থেকে গিয়েছে। এখনো কোনো উত্তর মেলেনি। তাই শেষমেশ এই অক্ষরটি মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৮৯৮ সাল থেকে প্রথম এই রেল স্টেশনের ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। যদিও স্টেশন স্থাপনের প্রথমদিকে এই রেলস্টেশনের নাম কোচবিহারের পরিবর্তে ছিল কুচবিহার। গত প্রায় ৮ ৯ বছর আগে আচমকাই কুচবিহারের পরিবর্তে কোচবিহার রেলস্টেশন বলে নতুনভাবে নামকরণ করা হয়। আর বেশ কিছুদিন আগে এই নামের বোর্ডের কোচবিহার শব্দের পাশে এইচ অক্ষরটিকে বসানো হয়। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় গোটা চত্বরে। কোচবিহার রয়্যাল ফ্যামিলি সাকসেসার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মুখপাত্র কুমার মৃদুল নারায়ণ এর তরফে জানা গিয়েছে, ‘এইচ অক্ষরটি লেখার কারণ অস্পষ্ট। তাই তা মুছে ফেলার সিদ্ধান্ততে সহমত হয়েছেন তিনি।’