পৌষ মেলা নিয়ে ডামাডোল, হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২০ সাল থেকে বিশ্বভারতীর উদ্যোগে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পরিচালনায় পূর্ব পল্লীর মাঠে বন্ধ ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। সেবছর মেলা বন্ধ হয়ে যায় মূলত করোনা অতিমারি ছড়িয়ে পড়ার কারণে। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালেও মেলা হয়নি পূর্বপল্লীর মাঠে।

২০২১ সালে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলা কড়া নিয়ে যখন কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না সেই সময় বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ এবং বোলপুরের ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে বিকল্প মেলার আয়োজন করা হয় ডাকবাংলো মাঠে। ডাকবাংলো মাঠে আয়োজিত এই মেলার জন্য পৌরসভার তরফ থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হয়।

তবে বর্তমানে অতিমারি পরিস্থিতি কাটিয়ে প্রত্যেকের মধ্যেই আশা রয়েছে পূর্বপল্লীর মাঠেই আগের মত মেলার আয়োজন হবে। কিন্তু এই মেলা নিয়ে চরম সংশয় তৈরি হলো শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তরফ থেকে বোলপুর পৌরসভাকে দেওয়ার একটি চিঠিকে ঘিরে। বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তরফ থেকে বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষকে সেই চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট পূর্বপল্লীর মাঠে মেলার আয়োজন করতে অপারগ, এমনটাই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ হিসাবে তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মেলা আয়োজন করার জন্য সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন তা হলো জল। কিন্তু ভুবনডাঙ্গায় যে চারটি বাঁধ রয়েছে সেই বাঁধগুলি এখন আবর্জনা এবং কচুরিপানায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। বাঁধগুলির মালিকানা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং তাদের এই বিষয়ে জানানো হলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ইতিমধ্যে মেলা যখন আসন্ন সেই সময় এত অল্প সময়ে সেই বাঁধগুলি মেরামত করা অসম্ভব।

এর পাশাপাশি শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট বোলপুর পৌরসভাকে দেওয়া চিঠিতে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছে, যদি বোলপুর পৌরসভা তাদের সহযোগিতা করে তাহলে গত বছরের মতো বিকল্প মেলার আয়োজন করা যেতে পারে। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের এই চিঠিতে স্পষ্ট, এই বছরও পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষ মেলা হবে না, অন্ততপক্ষে এখনো পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তার পরিপ্রেক্ষিতে। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে বিকল্প কোন মেলার আয়োজন হয় কিনা তার দিকে নজর থাকবে রাবীন্দ্রিক মনোভাবাপন্ন এবং শান্তিনিকেতনের বাসিন্দাদের।