West Bengal Government: গত ৮ বছরে উকিলের পিছনে কত টাকা ঢালল রাজ্য! অঙ্কটা শুনলেই জ্ঞান হারাবেন

West Bengal Government has given huge amount of money to lawyers to avoid corruption: বর্তমানে আইনজীবীদের পিছনে রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) খরচ বেড়েই চলেছে। এর মূল কারণ হলো বিভিন্ন রকম মামলায় সরকার জর্জরিত। যেমন ১০টিরও বেশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, কয়লা, গরু, বালি পাচারের মতো মামলায় সরকার গত কয়েক বছরে রীতিমতো নাজেহাল। সেই কারণে আইনজীবীদের পিছনেও খরচ হয়েছে প্রচুর টাকা। বিশ্বাসযোগ্য না হলেও এটাই সত্যি যে গত আট বছরে খরচ হয়েছে ৩১২.৫ শতাংশ।

সরকারের (West Bengal Government) আইনি খরচ মেটাতে বর্তমানে সরকারি তহবিল থেকে ২০১৪-১৫ সালে ২৪ কোটি খরচ হয়েছিল যা বেড়ে ২০২২-২৩ সালে দাঁড়িয়েছে ৭৫ কোটিতে এমনটাই জানা গেছে এইচটি-কে দেওয়া তথ্য থেকে। রাজ্যের আইজনীবীর খরচ বেড়েছে তিন গুনেরও বেশি। খরচ শুনলে আপনার মাথায় হাত পড়লেও এটাই সত্যি যে ৩১২.৫ শতাংশ আইনজীবীদের পিছনে খরচ করেছে রাজ্য। শুধুমাত্র জেলা আদালত, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট এবং হাই কোর্টে নিযুক্ত আইনজীবীদের জন্য এই খরচ হয়েছে। এই খরচে অন্তর্ভুক্ত নয় শীর্ষ আদালতের খরচ।

সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মামলাগুলির একেবারে কোন নিষ্পত্তি হয় না। সেগুলি একবার হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। আবার সেই মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্য সরকারকে (West Bengal Government) প্রতিটা ক্ষেত্রেই আইনজীবী নিয়োগ করতে হচ্ছে। যদি এই মামলাতে কেউ চাকরি হারিয়ে ফেলে কিংবা নিয়োগপত্র না পায় তাতেও সরকার পক্ষের আইনজীবীকে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে বিশাল অংকের টাকা খরচ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের।

তথ্য অনুসারে জানা যায় যে, রাজ্য সরকার (West Bengal Government) ২০১৬ সালে ১১ হাজার ৯৬৯টি ফৌজদারি মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সম্প্রতি সেই সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে। ২০২২-২৩ সালে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৫। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে রাজ্য সরকার জেলা আদালতে ২২ হাজার ৮২৮টি মামলায় যুক্ত ছিল এবং ২০২২-২৩ সালে তার পরিমান বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজার ৫৭৬।

এই বিষয়ে কি বলেছেন বাম নেতা এবং আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য? তিনি মন্তব্য করেছেন যে, এই হচ্ছে কোনরকম প্রশাসনিক সুব্যবস্থা নেই যার জন্য জনগণকে বারবার আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। যখনই তৃণমূলের রাজনৈতিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তখনই তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন। সেখানে প্যানেলের বাইরে আইনজীবী নিয়োগ করার ফলে সরকারি খাতের খরচ অনেক পরিমাণে বেড়ে চলেছে।